মাছেদের দুনিয়ার সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ১৪:২৫ আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ১৫:১৮
জার্মান আইসব্রেকার জাহাজ আর ভি পোলারস্টার্ন নিয়ে আন্টার্কটিকায় ঘুরে বেরিয়েছেন আলফ্রেড ওয়াগনর ইনস্টিটিউটের গবেষকেরা। আর বিস্ময়ের সঙ্গে আবিষ্কার করেছেন আইসফিশের এক বিশাল দেশ!
আন্টার্কটিকার ওয়েডেল সাগর
আইসফিশ বা বরফ-মাছের ৬ কোটি বাসার হদিশ মিলেছে আন্টার্কটিকার ওয়েডেল সাগরের তলদেশে! এত বিপুল সংখ্যক মাছ ও তাদের বাসা দেখে বিস্মিত গবেষকরা। তারা বলছেন, এ হল মাছেদের দুনিয়ার সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র!
আইসফিশের কোটি কোটি বাসা
জার্মান আইসব্রেকার জাহাজ আর ভি পোলারস্টার্ন নিয়ে আন্টার্কটিকায় ঘুরে বেরিয়েছেন অ্যালফ্রেড ওয়াগনর ইনস্টিটিউটের গবেষকেরা। মাছ নিয়েই গবেষণা করেছেন তারা। তাদের ক্যামেরাতেই ধরা পড়েছে তাদেরই জাহাজের নীচে আইসফিশের কোটি কোটি বাসার এই অদ্ভূত দৃশ্য!
১৭০০ ডিম
জাহাজের নীচে লাগানো থাকে ক্যামেরা। সেই ক্যামেরার ফিড স্ক্রিনে দেখা যায়। দুই গবেষক দেখতে পান, ১৯ ইঞ্চির দূরত্বে বাসা বেঁধে বরফ-মাছেরা। ২৪০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে মাছের এই ঘরবাড়ি। সাধারণত দল বেঁধে থাকে আইসফিশ। তাদের পর্যবেক্ষণ, আন্টার্কটিকার ওই জায়গায় ৬ কোটি বাসা রয়েছে। একসঙ্গে অন্তত ১৭০০ ডিম পাড়ে আইসফিশ!
আইসফিশ
আইসফিশ একমাত্র মেরুদণ্ডী প্রাণী যাদের রক্তে হিমোগ্লোবিন নেই! হিমোগ্লোবিন না থাকায় আইসফিশের রক্তের রং সাদা। ওই জায়গায় সমুদ্রের তলদেশের তাপমাত্রা আইসফিশের পক্ষে অনুকূল। বাসার চারপাশে ছোট ছোট সামুদ্রিক জীব ও শৈবাল মেলে। সেগুলিই খায় মাছেরা।
সমুদ্রের তলদেশে ক্যামেরা
এলাকা ছাড়ার আগে সমুদ্রের তলদেশে দু'টি ক্যামেরা রেখে গিয়েছেন গবেষকরা। ওই ক্যামেরায় আইসফিশের চলাফেরা ধরা পড়বে। জার্মানিতে বসে লাইভ দেখতে পাবেন তারা।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমএস