ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

পি কে হালদারকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হবে: ইডি

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ১৫ মে ২০২২, ১৮:৩৭  
আপডেট :
 ১৫ মে ২০২২, ২১:২৯

পি কে হালদারকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হবে: ইডি
সংগৃহীত

কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ মাথায় নিয়ে বিদেশে পলাতক এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) কর্মকর্তারা এই ইঙ্গিত দিয়েছেন।

এ নিয়ে রবিবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম ইংরেজি দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রবিবার পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলা আদালতে তোলা হবে পিকে হালদারকে। আদালতে তার ৩ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে। শেষ পর্যন্ত তাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের কাছে পি কে হালদারকে হস্তান্তর করার দু’টি কারণ আছে। সেগুলো হচ্ছে, বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুরোধ এবং তার বিরুদ্ধে যেসব মামলা হয়েছে সেগুলো সেখানকার ব্যাংকগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত।

এর আগে গত শনিবার পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থেকে গ্রেপ্তারের পর বাংলাদেশের হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলার মূলহোতা পি কে হালদারকে ভারতের একটি আদালত তোলা হয়। পরে আদালতের বিচারকরা তাকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ইডি হেফাজতে পাঠিয়ে দেন।

সে সময় সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জালিয়াতির মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ থেকে রেশন কার্ড, ভারতীয় ভোটার আইডি কার্ড, স্থায়ী অ্যাকাউন্ট নম্বর ও আধার কার্ডের মতো বিভিন্ন সরকারি পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেছেন পিকে হালদার। ‘শিবশঙ্কর হালদার’ নামে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান করছিলেন। তার সঙ্গে অন্যান্য সহযোগীরাও একই কাজ করেছেন।

বিবৃতিতে আরও জানায়, পি কে হালদার এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেড ছাড়াও আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শুরু করার পর তিনি কানাডায় পালিয়ে যান বলে ধারণা করা হয়েছিলো।

পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শুক্রবার দিনভর কলকাতা ও উত্তর চব্বিশ পরগনার অন্তত ৯টি স্থানে অভিযান চালায় ইডি। সেসময় উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার পোলেরহাটে দু’টি বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় পি কে হালদারের ব্যক্তিগত আইনজীবী সুকুমার মৃধার অবৈধ সম্পত্তির খোঁজে অভিযান শুরু করে ভারতের এই সংস্থা। কর্মকর্তারা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে এই তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করেন।

আরো পড়ুন

পি কে হালদারের গ্রেপ্তারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক তথ্য পাইনি

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত