ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

কাবুলে আবার দূতাবাস খোলার বিষয়ে ভাবছে ভারত

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ১৮ মে ২০২২, ১২:৩৪

কাবুলে আবার দূতাবাস খোলার বিষয়ে ভাবছে ভারত
প্রতীকী ছবি: আনন্দবাজার অনলাইন

আফগানিস্তানে বসবাস করলে একদিকে যেমন প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা, অন্যদিকে তালেবান সরকারকে কূটনৈতিকভাবে এখনও স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। তার জেরেই দূতাবাস বন্ধ করেছিল ভারত। কিন্তু এটাও ঠিক যে, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ১৬টি দেশ সেখানে বন্ধ করে দেয়া দূতাবাস আবার খুলেছে। রাশিয়া, চীন, পাকিস্তান, ইরানের মতো দেশগুলো তো কখনওই বন্ধ করেনি দূতাবাস। ফলে গত ১০ মাস ধরে আফগানিস্তানের মানচিত্রে কার্যত মুছে গেছে একমাত্র ভারত।

সূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার আনন্দবাজার অনলাইন জানায়, এ উভয় সঙ্কটের মধ্যে পড়ে সাউথ ব্লক কাবুলে দূতাবাস খোলার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। তবে আগের মতো শীর্ষ কূটনৈতিক কর্তারা যাবেন না সেখানে। পূর্ণাঙ্গ সক্রিয়তাও থাকবে না। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তার বক্তব্য, ‘এ ব্যাপারে কিছু কথাবার্তা এগিয়েছে। আফগানিস্তানের মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং সহায়তা পৌঁছনোর জন্য লিয়াজোঁর কাজে ব্যবহার করা হতে পারে দূতাবাস।’

প্রসঙ্গত গতকাল নয়াদিল্লিতে আয়োজন করা হয়েছিল এসসিও গোষ্ঠীভূক্ত রাষ্ট্রগুলোর আঞ্চলিক সন্ত্রাসবিরোধী কমিটির বৈঠক। আলোচনায় অগ্রাধিকার পেয়েছে আফগানিস্তান। কিন্তু দেখা গেছে, ওই বৈঠকে ভারতই একমাত্র দেশ যাদের কোনও উপস্থিতি নেই কাবুলে।

সূত্রের খবর, ইতোমধ্যেই ভারত থেকে নিরাপত্তা বিভাগীয় কর্তাদের একটি দল আফগানিস্তান ঘুরে এসেছে, সেখানকার পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখার জন্য। তাদের দেয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে আলোচনা হচ্ছে কাবুলে ভারতীয় দূতাবাসের তালা আংশিকভাবে হলেও খোলার। ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তানবাসীদের ন্যূনতম যোগাযোগ রক্ষা, প্রয়োজনে তাদের কাছে ভারতীয় সাহায্য পৌঁছে দেয়াটাই যার মুখ্য উদ্দেশ্য।

তালেবান কাবুলের দখল নেয়ার দু’দিন পর অর্থাৎ গত বছরের ২৭ আগস্ট আফগানিস্তানে দূতাবাস বন্ধ করে ভারত। তারপর থেকেই সরকারের অভ্যন্তরে বিতর্ক চলেছে, সিদ্ধান্তটা ঠিক হল কি না। ভারতের নিরাপত্তা বিভাগীয় কর্তা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাংশের বক্তব্য, দূতাবাস খোলা রাখা মানে ভারতীয় কর্মকর্তাদের প্রাণ বিপন্ন করা।

ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকারের বক্তব্য, আফগানিস্তানের সব সম্প্রদায়ের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সরকার গড়া হোক। সে দেশের মাটিকে যেন অন্য দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের কাজে ব্যবহার না করা হয়। এখনও পর্যন্ত তালেবানের কাছ থেকে এই মর্মে কোনও সাড়া পায়নি সাউথ ব্লক।

বাংলাদেশ জার্নাল/টিটি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত