ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্র ‘আগুন নিয়ে খেলছে’: চীন

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২৪ মে ২০২২, ১২:৪২

যুক্তরাষ্ট্র ‘আগুন নিয়ে খেলছে’: চীন

বেইজিং নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা চালালে সে ক্ষেত্রে স্ব-শাসিত দ্বীপটি রক্ষা করার জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতিশ্রুতি ঘোষণার পরপরই চীনের স্টেট কাউন্সিলের তাইওয়ান বিষয়ক কার্যালয় সোমবার বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ‘আগুন নিয়ে খেলছে’।

চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সিনহুয়ার বরাত দিয়ে বাসস এ খবর জানিয়েছে।

স্টেট কাউন্সিলের মুখপাত্র ঝু ফেংলিয়ান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘চীনকে সামলাতে তাইওয়ান কার্ড ব্যবহার করছে এবং এতে নিজেই পুড়ে যাবে।’

এর আগে জাপান সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চীনকে সতর্ক করে বলেন, চীন তাইওয়ান আক্রমণ করলে দ্বীপটি রক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সামরিক সহযোগিতা দেবে।

ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র যে নীতি অনুসরণ করে আসছিল, বাইডেনের এ মন্তব্য তার বিপরীত। যদিও হোয়াইট হাউস জোর দিয়ে বলছে, তারা তাদের নীতি থেকে সরে আসেনি।

বিবিসির খবরে বলা হয়, জাপানে বাইডেন তার বক্তব্যে তাইওয়ান পরিস্থিতির সাথে ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলার তুলনা টানেন, যার উত্তরে বেইজিং ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর জো বাইডেন প্রথমবারের মত এশিয়ার বিভিন্ন দেশ সফর করছেন। তিনি ওই অঞ্চলে মার্কিন মিত্র দেশগুলো সফর করছেন।

বাইডেন তার বক্তব্যের ভূমিকায় বলেন, তাইওয়ানের ব্যাপারে মার্কিন নীতি ‘বদলায়নি’। তবে সাম্প্রতিক কয়েকমাসে এ নিয়ে তিনি দ্বিতীয়বার দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বললেন যে, চীন তাইওয়ান আক্রমণ করলে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে প্রতিরক্ষা দেবে। টোকিওতে এই হুমকি যেভাবে তিনি পুনর্ব্যক্ত করেছেন, তাতে এটাকে যুক্তরাষ্ট্রের সুর পরিবর্তন বলেই দেখা হচ্ছে।

এ ধরনের পরিস্থিতির উদ্ভব হলে যুক্তরাষ্ট্র কী অবস্থান নেবে, সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আগে কখনই এতোটা স্পষ্ট বক্তব্য দেয়নি।

চীন মনে করে তাইওয়ান তাদের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া একটি প্রদেশ এবং মূল ভূখণ্ডের সাথে তাদের আবার সংযুক্ত হওয়া উচিত।

বেইজিং-এর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন জোর দিয়ে বলেছেন, ‘তাইওয়ান চীনের মূল ভূখণ্ডের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ। সেখানে কোনরকম আপোষ বা ছাড়ের সুযোগ নেই।’

তিনি বলেন, ‘তাইওয়ান এবং ইউক্রেনের মধ্যে মৌলিকভাবে তফাৎ রয়েছে। এ দুই দেশের মধ্যে তুলনা টানা উদ্ভট। আমরা আবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অনুরোধ জানাব তারা যেন এক-চীন নীতি মেনে চলে।’

যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তাইওয়ানের কোন আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক যোগাযোগ নেই। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের সাথে সম্পর্ক বিষয়ক এক ধারার অধীনে দেশটিকে অস্ত্র বিক্রি করে। তাইওয়ান রিলেশনস অ্যাক্ট নামে এ ধারায় বলা আছে যে, তাইওয়ান যাতে নিজেকে রক্ষা করতে পারে তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র দ্বীপটিকে সহযোগিতা করবে।

যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের পাশপাশি চীনের সাথেও আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রাখছে এবং চীনের সরকার যে একটাই, এ বিষয়ে চীনের অবস্থানকে যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিকভাবে স্বীকৃতিও দিয়ে থাকে।

বাইডেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে টোকিওতে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে যখন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন, তখন একজন তাকে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা বিষয়ে প্রশ্ন করেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট উত্তরের শুরুতেই চীন-তাইওয়ান সম্পর্কের সাথে ইউক্রেনের ওপর রুশ হামলার যোগাযোগ টানেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/টিটি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত