ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনে ইভিএম বাতিল করে পার্লামেন্টে বিল পাশ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২৭ মে ২০২২, ১৭:০৬  
আপডেট :
 ২৭ মে ২০২২, ১৮:০০

পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনে ইভিএম বাতিল করে পার্লামেন্টে বিল পাশ
পাকিস্তানের পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখছেন দেশটির আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার। ছবি: দ্য ডন।

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ (এনএ) বৃহস্পতিবার নির্বাচন (সংশোধনী) বিল ২০২২ পাস করেছে, যা সাধারণ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এর ব্যবহার বাতিলের পাশাপাশি বিদেশি পাকিস্তানিদের ভোট দেয়ার ক্ষমতা স্থগিত করেছে।

শুক্রবার পাকিস্তানের দ্য ডন অনলাইন এ খবর জানায়।

সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী মুর্তজা জাভেদ আব্বাসি বিলটি পেশ করেন, যা সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পাস হয়েছিল। কেবল গ্র্যান্ড ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের সদস্যরা এর বিরোধিতা করেছিলেন।

বিল উপস্থাপনের আগে আব্বাসি সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটিকে বিলটি সরাসরি সিনেটের অনুমোদনের জন্য পাঠাতে অনুমতি দেয়ার জন্য একটি প্রস্তাব পেশ করেন। প্রস্তাবটি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পাস হয়। কাল বিলটি সিনেটে পাঠানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নির্বাচনী বিল নিয়ে বিতর্ক: আইনটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে মন্ত্রী আজম নাজির তারার বলেন, এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি স্মরণ করেন পূর্ববর্তী পিটিআই সরকার নির্বাচনী আইন, ২০১৭-এ একাধিক সংশোধনী করেছিল, যার মধ্যে ইভিএম ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়েছিল এবং বিদেশী পাকিস্তানিদের সাধারণ নির্বাচনে ভোট দেয়ার অধিকার দেয়া হয়েছিল।

পিটিআই সরকার নির্বাচন (দ্বিতীয় সংশোধন) বিল, ২০২১-এর মাধ্যমে সংশোধনীগুলো করেছিল, যা ১৭ নভেম্বর, ২০২১-এ অন্যান্য ৩২টি আইনের সাথে জাতীয় পরিষদের মাধ্যমে অনুমোদন করিয়েছিল।

তিনি বলেন, নতুন বিলের অধীনে আইনের ধারা ৯৪ এবং ১০৩-এ দুটি সংশোধনী আনা হচ্ছে। উভয়ই ইসিপি বিদেশি ভোটিং এবং ইভিএম ব্যবহারের জন্য পাইলট প্রকল্প পরিচালনার সাথে সম্পর্কিত।

আইনমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনও ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে আপত্তি তুলেছিল। কিন্তু স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে, সরকার প্রযুক্তি ব্যবহারের বিরুদ্ধে নয়।

তিনি বলেন, ‘আমাদের শুধুমাত্র প্রযুক্তির অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। কারণ, ফলাফল ট্রান্সমিশন সিস্টেম একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের পক্ষে গত সাধারণ নির্বাচনে ব্যর্থ হয়েছিল।’

তিনি এমন ধারণাও উড়িয়ে দিয়েছেন যে, সংশোধনীগুলো লক্ষ্য ছিল বিদেশি পাকিস্তানিদের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা। তিনি বলেন, ‘বিদেশি পাকিস্তানিরা দেশের একটি মূল্যবান সম্পদ এবং সরকার তাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে বিশ্বাস করে না।’

এর আগে, জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রাজা রিয়াজ বলেছিলেন, দেশের নির্দিষ্ট কিছু অংশে ইলেকট্রনিক ভোটিং সফল হবে না। তিনি বলেন, ‘কিছু এলাকায় এখনও ইন্টারনেট সুবিধা নেই।’

অন্যদিকে জিডিএ দলের আইনপ্রণেতা গউস বখশ মেহর বলেন, সারা বিশ্বে ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে এবং পাকিস্তানের অন্তত সেগুলো ব্যবহার করার চেষ্টা করা উচিত। তিনি বলেন, ‘পুরো দেশে না হলে কিছু এলাকায় ব্যবহার করুন।’

বাংলাদেশ জার্নাল/টিটি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত