ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩২ মিনিট আগে
শিরোনাম

বর্ষাকালে ঘুরতে যাওয়ার ভারতীয় পাঁচটি পর্যটনস্থল

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২১ জুন ২০২২, ১১:২৮  
আপডেট :
 ২১ জুন ২০২২, ১১:৫২

বর্ষাকালে ঘুরতে যাওয়ার ভারতীয় পাঁচটি পর্যটনস্থল
ছবি: আনন্দবাজার

যারা বেড়াতে যেতে ভালবাসেন, তাদের অনেকেই বেড়ানোর পরিকল্পনা করার সময় বর্ষাকাল এড়িয়ে চলেন। কিন্তু ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে এমন কিছু পর্যটনকেন্দ্র যেগুলি বর্ষাকালে আরও বেশি অপরূপ হয়ে ওঠে। রইল তেমনই পাঁচটি পর্যটনকেন্দ্রের হদিস।

পুরুষওয়াড়ি, মহারাষ্ট্র

পুরুষওয়াড়ি, মহারাষ্ট্র

মুম্বাই থেকে ১৯০ কিলোমিটার ও পুণে থেকে ১৬৪ কিলোমিটার দূরের পুরুষওয়াড়ি গ্রামটি আদতে একটি আদিবাসী গ্রাম। এই গ্রাম সংলগ্ন বনাঞ্চল প্রায় ২০০০ প্রজাতির জোনাকির আবাসস্থল। জুন-জুলাইয়ে বৃষ্টির সময় ঝাঁকে ঝাঁকে জোনাকি বংশবিস্তারের জন্য বেরিয়ে আসে। ফলে জঙ্গলের ভিতর চলে আলোর খেলা। এই দৃশ্য দেখতে প্রতি বছর বহু মানুষ আসেন এই গ্রামে।

মান্ডু, মধ্যপ্রদেশ

মান্ডু, মধ্যপ্রদেশ

মধ্যপ্রদেশের মান্ডু প্রাচীন স্থাপত্যরীতির অনবদ্য নিদর্শন। বিশেষ করে এখানকার পানি ধরে রাখার বন্দোবস্ত এখনও স্থাপত্যশৈলীর দিক থেকে বিস্ময়। এই স্থাপত্যের মধ্যে রয়েছে প্রায় ১২০০ টি কৃত্রিম জলাশয়। মান্ডুর জাহাজ মহলের দু’দিকে রয়েছে দুটি কৃত্রিম লেক, মুনজা ও কাপুর। বর্ষাকালে এই জলাশয়গুলি কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে।

মুম্বাইয়ের কুইন্স নেকলেস

মুম্বাইয়ের কুইন্স নেকলেস

অমিতাভ ও জয়া বচ্চনের জুটি, কিশোর কুমারের গান, আরব সাগরের তীরের মেরিন ড্রাইভ, সঙ্গে তুমুল বর্ষা। এই দৃশ্য কিন্তু শুধু বলিউডের নয়। মুম্বাইয়ের কুইন্স নেকলেস এখনও বহু মানুষের রোমান্টিকতার জায়গা।

চেরাপুঞ্জি, মেঘালয়

চেরাপুঞ্জি, মেঘালয়

এক সময় পৃথিবীর সবচেয়ে বর্ষণমুখর স্থান ছিল চেরাপুঞ্জি। পরিবেশের বদল হয়ে সেই তকমা হাতছাড়া হলেও, বর্ষাকালে চেরাপুঞ্জির সবুজ পাহাড় থেকে সেভেন সিস্টার্স ফলস এখনও দেশের অন্যতম সেরা পর্যটনকেন্দ্র। চেরাপুঞ্জির থেকে শিলংও বেশি দূরে নয়। আর শিলং মানেই বাঙালির অমিত-লাবণ্যের রোমান্টিকতা।

দুধসাগর জলপ্রপাত, গোয়া

দুধসাগর জলপ্রপাত, গোয়া

বর্ষায় এই জলপ্রপাত প্রকৃত অর্থেই সাদা সাগর হয়ে ওঠে। মান্ডবি নদীর এই জলপ্রপাত উচ্চতায় হাজার ফুটেরও বেশি। বর্ষায় এটি চওড়াতেও কয়েকশো ফুট বিস্তৃত হয়ে যায়। বেলগাবি থেকে ভাস্কো ডা গামা যাওয়ার রেলপথের একটি সেতু রয়েছে এই জলপ্রপাতের উপর। সেখান থেকেই এই জলপ্রপাত সবচেয়ে ভাল দেখা যায়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত