ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

পদত্যাগ করলেন যুক্তরাজ্যের অর্থ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২২, ০৭:৪৩

পদত্যাগ করলেন যুক্তরাজ্যের অর্থ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। ফাইল ছবি- রয়টার্স

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের নেতৃত্বের অনাস্থা জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। জনসন সরকারের প্রভাবশালী এই দুই মন্ত্রী পদত্যাগ করায় চাপে পড়ে গেছেন জনসন।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তাদের কাছে আস্থা হারিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ওই দুই সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সদস্য। এমন দাবি জানিয়ে অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় আকস্মিকভাবে তাদের পদত্যাগের কথাও জানান।

পদত্যাগ করা স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ জানান, জনগণ এই সিদ্ধান্তে এসেছে যে সরকারের দক্ষতাও নেই, জনপ্রিয়তাও নেই। কিন্তু বরিস জনসনের নেতৃত্বে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন আসা সম্ভবপর নয়। সরকারের কাছে যথাযথ দায়িত্ব পালনের আশা করছে ব্রিটিশ জনগণ।

বরিস জনসনকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, নেতা হিসেবে যে সুর আপনি তুলেছেন, যে মূল্যবোধের প্রতিনিধিত্ব করছেন-আপনার সহকর্মী, আপনার দল ও সর্বোপরি দেশের ওপর তার প্রতিফলন ঘটছে।

তিনি আরও জানান, বাস্তবসম্মত নীতিনির্ধারণে ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল দল সর্বোচ্চটা দেখিয়েছে। দলটি শক্তিশালী মূল্যবোধের মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছে। আমরা সবসময়ই জনপ্রিয় থাকব না, তবে জাতীয় স্বার্থ রক্ষাযর ক্ষেত্রে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ সরকার সেই অবস্থায় নেই বলে মনে করে দেশের জনগণ।

পদত্যাগী অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক জানান, জনগণ চাওয়া যথাযথ, দক্ষতা ও গুরুত্বের সঙ্গে দেশের সরকার পরিচালিত হোক। আমার সর্বশেষ মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব হতে পারে এবারই, এমনটা মেনে নিয়েছি। তবে আমার ধারণা, এই মানদণ্ডের জন্য লড়াই করা যায়, যে কারণেই আমি পদত্যাগ করছি।

এদিকে এই দুজন মন্ত্রী পদত্যাগ করলেও বরিস জনসনকে শতভাগ সমর্থন দেয়ার কথা জানিয়েছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী নাডিন ডরিস। তিনি জানান, কে কী সন্দেহ করে, তা আমি জানি না। কিন্তু আমি বরিস জনসনের সঙ্গেই আছি। বর্তমানে একের পর এক বড় বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।

অন্যদিকে সরকারের দুই মন্ত্রীর পদত্যাগের পর বিরোধী দল লেবার পার্টির প্রধান স্যার কিয়ের স্ট্যামার বলেন, জাতীয় স্বার্থে বরিস জনসনকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরাতে এখন মন্ত্রীদের পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। হয় তারা নিজেরা পদত্যাগ করবে অথবা প্রধানমন্ত্রীকে সরিয়ে দেবেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত