ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

সালমান রুশদী কথা বলতে পারছেন

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০২২, ০২:১৪

সালমান রুশদী কথা বলতে পারছেন

যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লেখক সালমান রুশদীর ভেন্টিলেটর সরিয়ে নেয়া হয়েছে এবং তিনি এখন কথা বলতে পারছেন বলে জানিয়েছেন তার মুখপাত্র অ্যান্ড্রু ওয়াইলি।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রুশদীর মুখপাত্র অ্যান্ড্রু ওয়াইলি জানিয়েছিলেন লেখক একটি চোখ হারাতে পারেন। যদিও তার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন তথ্য এখনো জানানো হয়নি। কিন্তু অনেক লেখক ও পণ্ডিত ব্যক্তিরা টুইট করে মিস্টার রুশদী কথা বলতে পারছেন জেনে স্বস্তি প্রকাশ করছেন।

পঁচাত্তর বছর বয়সী সালমান রুশদী নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় হামলার শিকার হন। তার অবস্থা ছিলো গুরুতর। চব্বিশ বছর বয়সী হাদি মাতার দৌড়ে মঞ্চে উঠে মিস্টার রুশদীর মুখ, গলা ও পাকস্থলী বরাবর উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করেছিলেন।

ওই ঘটনার পর অ্যান্ড্রু ওয়াইলি বলেছিলেন যে মিস্টার রুশদীর বাহুর নার্ভ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া তার লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তিনি একটি চোখ হারাতে পারেন।

তবে তিনি যে প্রতিষ্ঠানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সেই শিটোকোয়া ইন্সটিটিউশনের প্রেসিডেন্ট টুইট করে জানিয়েছেন যে মিস্টার রুশদীর ভেন্টিলেটর সরিয়ে নেয়া হয়েছে এবং তিনি কথা বলতে পারছেন।

তার ওপর হামলাকারীকে ঘটনাস্থল থেকেই আটক করা হয়েছে। তবে তিনি এখনো হত্যা চেষ্টার অভিযোগ স্বীকার করেননি। জামিন না দিয়ে তাকে এখন পুলিশী হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

দ্যা স্যাটানিক ভার্সেস বইটি নিয়ে মুসলিমদের মধ্যে ক্ষোভের জের ধরে বহু বছর ধরে হত্যার হুমকির মধ্যে ছিলেন তিনি। বিশ্বজুড়ে অনেক মুসলিম মনে করেন যে এই বইটিতে তাদের ধর্মের অবমাননা করা হয়েছে। স্যাটানিক ভার্সেস প্রকাশিত হওয়ার পর প্রায় দশ বছর ধরে মিস্টার রুশদীকে আত্মগোপনে থাকতে হয়েছিলো।

অনেক মুসলিমের অভিযোগ বইটিতে ইসলামের নবীকে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে সেটি তাদের বিশ্বাসের প্রতি চরম অবমাননাকর। ইরানের তখনকার ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি তার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে ফতোয়া দিয়েছিলেন এবং তার মাথার দাম তিন মিলিয়ন ডলার ঘোষণা করেছিলেন।

সেই ফতোয়া এখনো প্রত্যাহার করা হয়নি। যদিও এই ফতোয়া থেকে সমর্থন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করে নিয়েছে ইরান সরকার। তবে ইরানের ধর্মীয় ফাউন্ডেশনের এক কর্মকর্তা ২০১২ সালে পুরষ্কারের পরিমাণ আরও পাঁচ লাখ ডলার বাড়িয়ে দেন।

মিস্টার রুশদী ১৯৪৭ সালে ভারতের বোম্বেতে (বর্তমান মুম্বাই) জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ক্যামব্রিজে পড়ার আগে তিনি ইংল্যান্ডের বোর্ডিং স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন। সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি নাইট উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন।

তার ওপর হামলার ঘটনাকে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হামলার উল্লেখ করে ব্যাপক প্রতিবাদ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/জিকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত