ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দক্ষিণ আফ্রিকায় হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২২, ১২:৪৮  
আপডেট :
 ২৫ আগস্ট ২০২২, ১৫:১৯

মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দক্ষিণ আফ্রিকায় হাজারো মানুষের বিক্ষোভ
ছবি: সংগৃহীত

দেশের প্রধান ট্রেড ইউনিয়নের ডাকে জিনিসের দাম বাড়া এবং ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষ প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নামলেন। কেপটাউন ও প্রিটোরিয়ায় শত শত দক্ষিণ আফ্রিকান বুধবার বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, সরকারকে অবিলম্বে জিনিসের দাম কমাতে হবে। না হলে, তাদের পক্ষে বাঁচা দায় হয়ে পড়ছে।

বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি ও ডয়েচে ভেলে।

সাউথ আফ্রিকান ফেডারেশন অফ ট্রেড ইউনিয়নসের সাধারণ সম্পাদক জোয়েলিনজিমা ভাভি বলেছেন, আমরা আর নিঃশ্বাস নিতে পারছি না। অন্তত এক কোটি ৪০ লাখ মানুষ দিনে অন্তত একবার খেতে পাবে না। জিনিসের দাম যা বেড়েছে, তাতে তাদের পক্ষে খাবার জোগাড় করা সম্ভব হবে না।

করোনার পর থেকে সাউথ আফ্রিকার অর্থনীতি প্রবল চাপে রয়েছে, মুদ্রাস্ফীতি গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে। মুদ্রস্ফীতির হার এখন সাত দশমিক আট শতাংশ। অন্তত ২০ লাখ মানুষ কাজ হারিয়েছেন। বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছে ৩৫ শতাংশ।

বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে পারছে না। তাই ঘনঘন লোডশেডিং হচ্ছে। বিদ্যুতের বিলও সাড়ে ৭ শতাংশ বেড়েছে। খাদ্য ও পানীয়ের দাম বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ।

বিক্ষোভে অংশ নেয়া এক স্কুলশিক্ষক তুমানে বলেছেন, আমি ঋণ শোধ করতে পারছি না। কারণ, সুদের হার বেড়ে গেছে। পেট্রোলের দাম বেড়েছে। খাবার জিনিসের দাম বেড়েছে। স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়াম আরো দামি হয়েছে। স্কুলশিক্ষক হিসাবে আমি আর আগের মতো জীবনযাপন করতে পারছি না।

এদিকে দেশের বেহাল অর্থনীতির জন্য ট্রেড ইউনিয়নগুলি ক্ষমতাসীন আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসকেই দায়ী করছে। কংগ্রেস অফ সাউথ আফ্রিকান ট্রেড ইউনিয়নসের সাধারণ সম্পাদক মাইক শিনগ্যাঙ্গে বলেছেন, এটা সামাজিক সংগ্রাম। এই সংগ্রাম না করলে ভবিষ্যৎ আরো অন্ধকার হবে। আমাদের এখন লড়াই করতে হবে।

দেশটির প্রেসিডেন্সির মন্ত্রী গাঙ্গুবেলে বুধবার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীরা যে বিষয়গুলি তুলেছে, সেগুলি সবই সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় আছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত