ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইরানের নৈতিকতা পুলিশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:৫১  
আপডেট :
 ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭:৩২

ইরানের নৈতিকতা পুলিশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
তেহরানে মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদের বিক্ষোভ করছে মানুষ। ছবি: রয়টার্স

পুলিশ হেফাজতে তরুণীর মৃত্যু ও বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও সহিংসতার অভিযোগে ইরানের তথাকথিত ‘নৈতিকতা পুলিশ’-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।

গত সপ্তাহে তেহরানে অনুপযুক্ত পোশাক পরার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যু পর, ইরান জুড়ে ক্ষোভের ঢেউ তুলেছে যার প্রতিবাদে হাজারো ইরানীরা রাস্তায় নেমেছে, সেইসাথে বিশ্বব্যাপী নিন্দাও করেছে৷

বৃহস্পতিবার ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ ট্রেজারি ইরানের ‘নৈতিকতা পুলিশ’এবং সেইসাথে ইরানী নিরাপত্তা সংস্থার সাত নেতার ওপর নিষেধাজ্ঞার অনুমোদন দিয়েছে।

ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, মাহসা আমিনি একজন সাহসী নারী ছিলেন যার নৈতিকতা পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের দমন করার জন্য সহিংসতা ব্যবহার করে ইরানি নিরাপত্তা বাহিনী। যা দেশটির জনগণের বিরুদ্ধে বর্বরতার আরেকটি কাজ ছিল।

ইয়েলেন আরও বলেন, আমরা এই অসংবেদনশীল কাজের কঠোর ভাষায় নিন্দা জানাই এবং ইরানের সরকারকে নারীর প্রতি সহিংসতা এবং স্বাধীন মতপ্রকাশ ও সমাবেশের উপর চলমান সহিংস দমন-পীড়ন বন্ধ করার আহ্বান জানাই।

এদিকে ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি বলেছে, ২২ বছর বয়সী তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে যারা দাঙ্গা সৃষ্টি করছে তারা মূলত বিপ্লব বিরোধীদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করছে, তাদের এই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবে।

অন্যদিকে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে এখন পর্যন্ত দেওয়া সবচেয়ে কঠোর সতর্কবার্তায় ইরানের সেনাবাহিনী বলেছে, জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তারা ‘শত্রুদের মোকাবেলায়’ নামবে।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে আইআরজিসি চলমান সংঘর্ষের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, হাসপাতালে ইনটেনসিভ মেডিকেল কেয়ার এবং বিশেষ সতর্কতার সঙ্গে চিকিৎসা দেয়া সত্ত্বেও মাহসা আমিনির মৃত্যু হয়েছে। ভিডিও ফুটেজেও আমিনির মৃত্যুর বিষয়টি দেখা গেছে কিন্তু তাকে কোথাও নির্যাতন করার ঘটনা পাওয়া যায়নি।

এছাড়া তেহরানের পুলিশ প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হোসেন রাহিমিও নির্যাতনের মাধ্যমে মাহসা আমিনিকে হত্যার অভিযোগ নাকচ করেছেন।

রাহিমি বলেন, মাহসা আমিনিকে টাইট ট্রাউজার পরা এবং তার হিজাব অনুপযুক্তভাবে পরার জন্য আটক করা হয়েছিল, তবে তার সাথে দুর্ব্যবহার করা দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। পুলিশের বিরুদ্ধে কাপুরুষোচিত অভিযোগ করা হয়েছে।

সূত্র: আল-জাজিরা

বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত