ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রাপ্তি শূন্য হলেও গোয়া নির্বাচনে ৪৭ কোটি খরচ তৃণমূলের, বিজেপির ১৭ কোটি

প্রাপ্তি শূন্য হলেও গোয়া নির্বাচনে ৪৭ কোটি খরচ তৃণমূলের, বিজেপির ১৭ কোটি
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মন্ত্রী। ফাইল ছবি

গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল তৃণমূল আর আপের মধ্যে। তবে শেষ পর্যন্ত এই নির্বাচনে বিজেপির জয় হলেও তা জিততে দেদার খরচ করেছে তৃণমূল। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে পেশ করা হিসাবে দেখা যাচ্ছে, গোয়া ভোটে খরচের হিসাবে সব রাজনৈতিক দলকে ছাপিয়ে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।

এনডিটিভি জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশনে পেশ করা হিসাব অনুযায়ী, তৃণমূল ভোটে খরচ করছে ৪৭ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা। মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের নেতৃত্বে সে রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রেখেছে বিজেপি। তারা নির্বাচনে খরচ করছে ১৭ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। যাদের সঙ্গে মূলত লড়াই হয়েছে তৃণমূলের, সেই আপ গোয়ায় খরচ করছে ৩ কোটি ৫ লক্ষ টাকা।

অন্য দিকে কংগ্রেস, যারা আশা করেছিল গোয়ায় বিজেপিকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করবে, তার খরচ করছে ১২ কোটি টাকা। শরদ পাওয়ারের এনসিপি প্রচারের খরচ পাশাপাশি তাদের কেন্দ্রীয় ফান্ড থেকে প্রত্যেক প্রার্থীকে ২৫ লক্ষ টাকা দিয়েছে। এই নির্বাচনে তারা ১১টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। শিবসেনা গোয়া নির্বাচনে ১০ জনকে প্রার্থী করেছিল। এ জন্য তারা খরচ করছে ৯২ লক্ষ টাকা।

রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভের পর অন্য রাজ্যেও তৃণমূল দলকে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করে। সেই অনুযায়ী গোয়া ছাড়াও মণিপুর, ত্রিপুরায় প্রার্থী দিয়েছিল তারা। ভোট পরিকল্পনার দায়িত্বে ছিলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। কিন্তু কোনও রাজ্যে সাফল্য আসেনি। গোয়া নির্বাচনে ২৩টি আসনে প্রার্থী দেয় তৃণমূল। কিন্তু একটি আসনেও তারা জয়লাভ করতে পারেনি। অন্য দিকে তাদের সঙ্গে জোট করা মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি (এমজিপি) ১৩ টি আসনে প্রার্থী দেয় তার মধ্যে দু’টি আসনে জয়লাভ করতে সক্ষম হয়। যদিও তৃণমূলের দাবি, ভিন রাজ্যে পা রেখে যে ভাবে মানুষের সমর্থন পেয়েছেন সেটাই ‘বড়’ সাফল্য।

অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ ৩৯ টি আসনে প্রার্থী দেয়। তার মধ্যে ২টি আসন জিততে সক্ষম হয়।

অন্যদিকে ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় ২০টি আসন জেতে বিজেপি। এমজিপি-র দুই বিধায়ক এবং তিন নির্দল বিধায়কের সমর্থনে সরকার গড়ে তারা। চলতি মাসের শুরুতে বিরোধী দলের নেতা মাইকেল লোবো এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগম্বর কামাত-সহ ৮ জন বিধায়ক কংগ্রেসে যোগ দেন। ফলে যথেষ্ট শক্তিশালী হয় মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের সরকার।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত