ঢাকা, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

খেরসনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ পুনরুদ্ধার করেছে ইউক্রেন

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২২, ১৪:২১

খেরসনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ পুনরুদ্ধার করেছে ইউক্রেন
খেরসনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ পুনরুদ্ধার করেছে ইউক্রেনীয় সেনারা। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া সামরিক বাহিনীকে আরেকটি শক্ত ঘাঁটি থেকে বিতাড়িত করেছে ইউক্রেনীয় সেনারা। খেরসনের দক্ষিণাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রামে দখলমুক্ত করে ফের ইউক্রেনের পতাকা উড়িয়েছে তারা।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যাচ্ছে, ৩৫ মেরিন ব্রিগেড ইউক্রেনের পতাকা উড়াচ্ছে দেভিদিভ ব্রিদ গ্রামে। আশপাশের আরো কয়েকটি গ্রামও দখলমুক্ত করার খবর পাওয়া গেছে।

এর আগে ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয় রুশ সেনাবাহিনী। তারা পিছিয়ে ক্রমেই দক্ষিণের দিকে যাচ্ছে। রুশ বাহিনীর সর্বশেষ বিপর্যয় এমন এক সময়ে ঘটল যখন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যখন ইউক্রেনের চারটি অংশকে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করার ডিক্রিতে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছেন, যদিও ওই চার অঞ্চলেই যুদ্ধ চলছে।

যদিও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ওই চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার ভূখণ্ডভুক্ত করার কোনো বৈধতা নেই এবং ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ প্রচেষ্টাকে অকার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছেন।

জেলেনস্কি বলেছেন, তার বাহিনী খুব দ্রুত এবং দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে যাচ্ছে। দুটি রণক্ষেত্রে তারা বেশ কিছু গ্রাম দখল মুক্ত করতে পেরেছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার ভাষণে জেলেনস্কি বলেছিলেন, লিউবিমিভকা, খ্রেশচেনিভকা, জোলোটা বালকা, বিলিয়াইভকা, ইউক্রেনকা, ভেলিকা ওলেক্সান্দ্রিভকা এবং মালা ওলেক্সান্দ্রিভকা গ্রামগুলিও মুক্ত করা হয়েছে এবং মুক্ত করা গ্রামগুলোর ‘পুরো তালিকা আরও বড়’ বলে উল্লেখ করেছেন।

ইউক্রেনের ডেপুটি অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী ইয়েভেন এনিন বলেছেন, ৫০টি শহর ও গ্রাম পুনরুদ্ধার করা হয়েছে এবং খেরসনে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার নাগরিককে মুক্ত করা হয়েছে, তবে কত সময়ের মধ্যে তা বলেননি।

এদিকে মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাকে আশ্বস্ত করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র কখনই রাশিয়ার সংযুক্তিকে স্বীকৃতি দেবে না। এছাড়াও হিমার্স রকেট লঞ্চার সহ ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ৬২ কোটি ৫০ লাখ ডলারের সহায়তা নিয়েও আলোচনা করেছেন তারা।

উল্লেখ্য, রাশিয়ার এখনও দক্ষিণে আঞ্চলিক রাজধানী খেরসন শহরের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে, কিন্তু ডিনিপ্রো নদীর উত্তরের পুরো এলাকায় তাদের অবস্থান ক্রমেই নড়বড়ে দেখাচ্ছে। গত ৪৮ ঘণ্টায় ইউক্রেইনীয় বাহিনীগুলো রুশ বাহিনীকে তাড়া করে নদীটির পশ্চিম তীর ধরে দক্ষিণে এগিয়ে গেছে আর খেরসন অঞ্চলের উত্তরে থাকা বেশ কয়েকটি বসতি থেকে রুশ বাহিনী এখন পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে।

সূত্র: বিবিসি

বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত