ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

বাবার ৪৪ বছর পর একই আসনে ছেলে

ভারতের ৫০ তম প্রধান বিচারপতি পদে চন্দ্রচূড়ের শপথ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২২, ১৩:৩২  
আপডেট :
 ০৯ নভেম্বর ২০২২, ১৬:২১

ভারতের ৫০ তম প্রধান বিচারপতি পদে চন্দ্রচূড়ের শপথ
ভারতের ৫০ তম প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ফাইল ছবি

ভারতের ৫০ তম প্রধান বিচারপতি পদে শপথ গ্রহণ করলেন বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়। বুধবার দেশটির রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাকে শপথবাক্য পাঠ করান তাকে। ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত এই প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব সামলাবেন তিনি। বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত ৭৪ দিন ছিলেন প্রধান বিচারপতি পদে।

বাবার ৪৪ বছর পর একই আসনে বসলেন তিনি। বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বাবা ওয়াইভি চন্দ্রচূড়ও ভারতের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। দেশে সবথেকে দীর্ঘ সময়ের প্রধান বিচারপতি ছিলেন তিনি। ১৯৭৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৮৫-সালের ১১ জুলাই পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন ওয়াইভি চন্দ্রচূড়।

২০১৬ সালের ১৩ মে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে কাজ শুরু করেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। একাধিকবার সাংবিধানিক বেঞ্চের অংশ হয়েছেন তিনি। অযোধ্যার জমি-বিতর্ক সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দিয়েছেন তিনি। শুধু অযোধ্যা নয়, সমকামী সম্পর্কে মান্যতা দেয়া, আধার স্কিমের বৈধতা, সবরিমালার মতো রায় দেয়ার ক্ষেত্রেও বিচারপতিদের বেঞ্চের অংশ ছিলেন তিনি।

সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক বিচারপতি চন্দ্রচূড়। পরে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। এলএলবি ডিগ্রি পাওয়ার পর আমেরিকায় হার্ভার্ড ল স্কুল থেকে এলএলএম পাশ করেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের আগে বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। এলাহবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদেও ছিলেন। এছাড়া মুম্বই ইউনিভার্সিটিতে ‘কম্পারেটিভ কনস্টিটিউশনাল ল’ বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন তিনি। বিচারপতি হওয়ার আগে ১৯৯৮ সালে বম্বে হাইকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী থাকাকালীন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের দায়িত্ব পান।

উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর বিচারপতি ইউইউ ললিত সুপারিশ করেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নাম। তবে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের মনোনয়নকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। বিচার বিভাগীয় আদেশের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক আচরণ এবং স্বার্থের সংঘাতের কারণে তার প্রধান বিচারপতি পদে মনোনয়ন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। পরে সেই আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আদালত জানায়, ভ্রান্ত ধারণার ভিত্তিতে ওই আবেদন করা হয়েছিল।

সূত্র: এনডিটিভি

বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত