ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রাণঘাতী শীতের মুখোমুখি বিদ্যুৎহীন ইউক্রেনীয়রা: ডব্লিউএইচও

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২২, ১৪:২৬  
আপডেট :
 ২৩ নভেম্বর ২০২২, ১৬:৩৭

প্রাণঘাতী শীতের মুখোমুখি বিদ্যুৎহীন ইউক্রেনীয়রা: ডব্লিউএইচও
একজন ইউক্রেনীয় নারী গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে ঘর গরম করার চেষ্টা করছেন। ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামোতে হামলা অব্যহত রেখেছে রাশিয়া। যার ফলে রাজধানী কিয়েভসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সামান্য বা কোন বিদ্যুৎ ছাড়াই শীতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউক্রেনীয়রা, যেখানে তাপমাত্রা ইতিমধ্যে হিমাঙ্কের নীচে নেমে গেছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্ক করেছে, লক্ষ লক্ষ মানুষ এই বছর জীবননামের হুমকিপূর্ণ শীতের মুখোমুখি হচ্ছে।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে, ইউক্রেনের জল এবং বিদ্যুৎ স্টেশন সহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে শক্তির অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে রাশিয়া। এরফলে সারাদেশের বাড়িঘরের পাশাপাশি হাসপাতালগুলোকে বিদ্যুৎবিহীন করে দিয়েছে, যা স্বাস্থ্য সংকটকে আরও জটিল করে তুলছে বলে সর্তক করেছে ডব্লিউএইচও।

ইউরোপের ডব্লিউএইচওর আঞ্চলিক পরিচালক হ্যান্স হেনরি পি ক্লুগে বলেছেন, ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোর অর্ধেক হয় ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এটি ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং জনগণের স্বাস্থ্যের উপর ব্যপক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।

কিয়েভে একটি সংবাদ সম্মেলনে তিনি সতর্ক করেছিলেন, এই শীতকাল হবে ইউক্রেনীয়দের বেঁচে থাকার লড়াই। কেননা জ্বালনি সঙ্কট, এই শীতকে ইউক্রেনীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং ইউক্রেনীয় জনগণের জন্য একটি ভয়ঙ্কর পরিস্তিতি তৈরী করবে। তারা অনন্য স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে, যার মধ্যে রয়েছে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ যেমন কোভিড -১৯, নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা, ডিপথেরিয়া এবং হামের গুরুতর ঝুঁকি তৈরী হবে।

এদিকে, ডব্লিউএইচও ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, উষ্ণতা এবং নিরাপত্তার সন্ধানে ৩০ লাখ ইউক্রেনীয় তাদের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে পারে।

ইউক্রেনের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, দেশের কিছু অংশে তাপমাত্রা -২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যাওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

গত সপ্তাহে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে দেশটির বিদ্যুৎ অবকাঠামো লক্ষ্য করে বিমান হামলায় চালিয়েছে রাশিয়া।

এই সপ্তাহের শুরুতে, জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নতুন করে গোলাবর্ষণ করা হয়েছিল, যা আর কোনো শক্তি উৎপাদন করে না। রাশিয়া এবং ইউক্রেন পরস্পরকে এই প্ল্যান্টে হামলার জন্য দায়ী করেছে, যা দেশের এক চতুর্থাংশেরও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করত।

সূত্র :আলজাজিরা, রয়টার্স

বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত