আফগানিস্তানে প্রকাশ্যে চাবুক মেরে শাস্তি দিচ্ছে তালেবান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২২, ১৬:০০ আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২২, ১৬:০৭
আফগানিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট বুধবার ১৪ জনকে প্রকাশ্যে চাবুক মারার শাস্তি দেয়। তাদের বিরুদ্ধে ব্যাভিচার, চুরির মতো অভিযোগ ছিল। ১৪ জনের মধ্যে তিনজন নারী। এরপরই দেশটির লোগার অঞ্চলের একটি ফুটবল স্টেডিয়ামে ১৪ জনকে চাবুক মারা হয়।
তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এই মাসে দেশটির বিচারকদের ইসলামিক আইনের দিকগুলো সম্পূর্ণরূপে প্রয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছেন যার মধ্যে রয়েছে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড, পাথর মারা এবং বেত্রাঘাত এবং চোরের জন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেটে ফেলা।
সোশ্যাল মিডিয়া কয়েক মাস ধরে তালেবান যোদ্ধাদের বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সারসংক্ষেপে বেত্রাঘাত করার ভিডিও এবং ছবি প্রকাশিত হয়েছে। তবে এই প্রথম কোনো আদালতের আদেশে এমন শাস্তি নিশ্চিত করেছেন কর্মকর্তারা।
লোগারের গভর্নরের অফিস থেকে বলা হয়েছে, তারা সম্মাননীয় স্কলারদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মুজাহিদিন, বয়স্ক মানুষ, জনজাতি নেতা ও স্থানীয় মানুষদের।
এদিকে লোগার প্রদেশের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান কাজী রফিউল্লাহ সামিম এএফপিকে বলেছেন, প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করা হয়নি।
তিনি বলেন, চৌদ্দ জনকে বিবেচনামূলক শাস্তি দেয়া হয়েছিল, যার মধ্যে ১১ জন পুরুষ এবং তিনজন মহিলা এবং প্রত্যেককে ২১ থেকে ৩৯ বার চাবুক মারা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে আফগানিস্তানে তাদের প্রথম শাসনের সময় তালেবানরা নিয়মিতভাবে জনসম্মুখে শাস্তি প্রদান করত। যার মধ্যে চাবুক মারা, পাথর ছুঁড়ে মারা, অঙ্গচ্ছেদের শাস্তি দেয়া হতো। ২০২১ সালে আবার তারা আফগানিস্তানে ক্ষমতায় এসে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে।
সূত্র: এএফপি
বাংলাদেশজার্নাল/এমআর