ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্দি বিনিময় রাশিয়ার

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:৫৩

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্দি বিনিময় রাশিয়ার
রাশিয়ান অস্ত্র চোরাচালানকারী ভিক্টর বাউট এবং মার্কিন বাস্কেটবল তারকা ব্রিটনি গ্রিনার। ছবি: সংগৃহীত

বন্দি প্রত্যার্পণ চুক্তির মাধ্যমে মার্কিন বাস্কেটবল খেলোয়াড় ব্রিটনি গ্রাইনার এবং রুশ অস্ত্র ব্যবসায়ী ভিক্টর বাউটকে মুক্তি দিয়েছে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। কয়েকমাসের আলোচনার পর বৃহস্পতিবার এই বন্দিকে মুক্তি দিলো দুই দেশ। দুইজনই নিজেদের দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক তিক্ততম হয়ে ওঠে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ব্রিটনিকে ছাড়ানোর জন্য গত কয়েকমাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র লাগাতার আলোচনা চালিয়ে গেছে। অবশেষে তার মুক্তি সম্ভব হলো। গ্রাইনারের টেক্সাসের বিমানে উঠে পড়েছেন। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রয় বন্দি বাউট মস্কোয় পৌঁছে গেছেন।

দুই বন্দির হস্তান্তর হয়েছে আবু ধাবি বিমানবন্দরে। মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছেন ব্রিটনি। তবে শারীরিকভাবে তিনি সুস্থ আছেন। অন্যদিকে, হোয়াইটহাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, ব্রিটনি ভালো আছেন। তিনি বিমানে উঠে পড়েছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি তার পরিবারের কাছে পৌঁছে যাবেন।

সাবেক মার্কিন মেরিন পল ওয়েল্যানকেও হস্তান্তরে চেয়েছিলেন বাইডেন। কিন্তু রাশিয়া তাকে ছাড়তে রাজি হয়নি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, আমাদের হাতে দুটিই মাত্র বিকল্প ছিল। হয় কাউকেই নেয়া যাবে না অথবা কেবল ব্রিটনিকে নেয়া যাবে।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে মস্কো বিমানবন্দরে সামান্য গাঁজার তেল রাখার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয় ব্রিটনিকে। দুইবারের অলিম্পিক সোনাজয়ী বাস্কেটবল খেলোয়াড়কে এরপর একের পর এক জেলে রাখা হয়। সাধারণ বন্দিদের মতো ব্যবহার করা হয় তার সঙ্গে। তবে ব্রিটনি কখনোই ভেঙে পড়েননি বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। সেই তখন থেকেই ব্রিটনিকে মুক্তি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

অন্যদিকে, ২০১২ সালে ২৫ বছরের কারাবাসের শাস্তি দেয়া হয়েছিল বাউটকে। বেআইনি অস্ত্র ব্যবসার অপরাধে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ৫৫ বছরের বাউট শাস্তি শেষ হওয়ার অনেক আগেই মুক্তি পেলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালের কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর থেকে দুই শত্রু দেশের জন্য, এটি তাদের ইতিহাসের অন্যতম বন্দী বিনিময়।

সূত্র: আলজাজিরা, ডয়েচে ভেলে

বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত