রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাকে অস্ত্র বিক্রি করছে উত্তর কোরিয়া: যুক্তরাষ্ট্র
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২২, ১৩:০০
উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার ওয়াগনার গোষ্ঠীকে অস্ত্র বিক্রি করছে বলে দাবি মার্কিন গোয়েন্দাদের। ওয়াগনার গ্রুপ ক্রেমলিনের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত একটি ব্যক্তিগত সামরিক ঠিকাদার বাহিনী গোষ্ঠী, যারা অর্থের বিনিময়ে রাশিয়া সামরিক বাহিনীর হয়ে যুদ্ধ করে। বর্তমানে এই বাহিনীটির একটি বড় অংশ ইউক্রেনের কিছু অংশে লড়াই করছে।
মার্কিন গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ইউক্রেনে ৫০ হাজার ওয়াগনার যোদ্ধা রাশিয়ার হয়ে লড়াই করছে বলে মনে করা হয়। তাদের কাছে অস্ত্রের প্রথম শিপমেন্ট পৌঁছে গেছে। তাতে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র আছে বলে জানা গেছে ।
হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি জানিয়েছেন, ওয়াগনারের কাছে যে পরিমাণ অস্ত্র পৌঁছেছে, তা আমরা খতিয়ে দেখেছি। তবে এর ফলে যুদ্ধের গতি বা ফলাফলে কোনো প্রভাব পড়বে না বলেও জানান তিনি।
কিরবি বলেন, গত মাসে উত্তর কোরিয়া অস্ত্র পাঠিয়েছে। তারা আরও অস্ত্র পাঠাতে পারে। তাই আমরা উদ্বিগ্ন।
বাইডেন প্রশাসন এক বিবৃতিতে বলছে, উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র কেনাবেচার উপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা আছে। তারা সেই নিষেধাজ্ঞা ভেঙে অস্ত্র বিক্রি করেছে। রাশিয়াও ইউক্রেনে তাদের আগ্রাসন বজায় রাখতে উত্তর কোরিয়া ও ইরানের কাছ থেকে অস্ত্র কিনছে। এটা মেনে নেয়া যায় না।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি উত্তর কোরিয়ার নিন্দা করে বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন এখন অস্ত্রের জন্য উত্তর কোরিয়ার মুখাপেক্ষি। বোঝা যাচ্ছে, রাশিয়া কতটা একা ও বেপরোয়া।
এদিকে য়াগনার গোষ্ঠীকে অস্ত্র বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করছে উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই অস্ত্র সরবরাহের খবর ভিত্তিহীন।
দেশটির সরকারি সংবাদসংস্থা কেসিএনএ বলেছে, উত্তর কোরিয়া তাদের নীতিগত অবস্থান বদল করেনি। রাশিয়ার সঙ্গে তাদের কোনোরকম অস্ত্র কেনাবেচা হয়নি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে কেসিএনএ জানিয়েছে, ইউক্রেনে যে রক্তপাত হচ্ছে তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র দায়ী। তারা ইউক্রেনের কম বয়সিদের হাতে মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র তুলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি
বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর
