ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫২ মিনিট আগে
শিরোনাম

শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন কিম জং উন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০২ জানুয়ারি ২০২৩, ১৩:৪৬

শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন কিম জং উন
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। ছবি: সংগৃহীত

উত্তর কোরিয়ার দ্বিতীয় শক্তিশালী সামরিক কর্মকর্তা পাক জং চোনকে বরখাস্ত করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনীতে কিমের পরই পাকের অবস্থান। এছাড়াও দেশটির মিলিটারি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান এবং ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারি ছিলেন পাক জং চোন। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, পাককে বরখাস্তের কোনো কারণ জানানো হয়নি।

সরকারি কেসিএনএ বার্তা সংস্থা রবিবার জানিয়েছে, গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির বার্ষিক সভায় পাক জং চোনর স্থলাভিষিক্ত হন রি ইয়ং গিল। পাকের উত্তরসূরি রিইয়ং গিল, একজন সিনিয়র সামরিক কমান্ডার যিনি সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী সহ গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, পিয়ংইয়ং নিয়মিতভাবে তার নেতৃত্বের পুনর্গঠন করে এবং বছরের শেষের পার্টি সমাবেশ প্রায়ই কর্মীদের রদবদল এবং প্রধান নীতিগত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে ব্যবহৃত হয়।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন দেখায় কমিটির বৈঠক চলাকালীন পাক মঞ্চের সামনের সারিতে বসে আছেন এবং অন্যান্য সদস্যরা কর্মীদের ইস্যুতে ভোট দেয়ার জন্য তাদের হাত তুলেছেন। পরে তার আসন খালি দেখানো হয়।

বার্তা সংস্থা রয়টর্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিম ২০২৩ সালের প্রতিরক্ষা কৌশলের চাবিকাঠি হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে মোকাবেলায় নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং একটি বৃহত্তর পারমাণবিক অস্ত্রাগার তৈরির নির্দেশের পরই পাককে প্রতিস্থাপন করা হল।

পাক ২০১৫ সালে এক তারকা আর্টিলারি কমান্ডার থেকে ২০২০ সালে চার তারকা জেনারেলে দ্রুত পদন্নতি পান। দেশের স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে অগ্রগতিতে অবদান রাখার জন্যই তাকে এই পদন্নতি দিয়েছিলেন কিম।

এরপর ২০২০ সালের শেষের দিকে পলিটব্যুরোতে উন্নীত হন এবং কিমের অধীনে সর্বোচ্চ সামরিক পদমর্যাদা মার্শাল উপাধি অর্জন করেন পাক। এছাড়াও গত নভেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক অনুশীলনের বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।

এদিকে সিউলের কোরিয়া ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল ইউনিফিকেশনের একজন ফেলো ওহ গিয়াং-সুপ বলেছেন, দক্ষিণে উত্তর কোরিয়ার ড্রোনের অনুপ্রবেশ নিয়ে আন্ত-কোরিয়া উত্তেজনা পাকের বরখাস্তে একটি ভূমিকা পালন করতে পারে।

সিউলের কর্মকর্তারা বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়া অনুপ্রবেশের প্রতিক্রিয়া হিসাবে সীমান্তের ওপারে তিনটি ড্রোন পাঠিয়েছে, কিন্তু উত্তর থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। যার অর্থ তারা বিমানটিকে সনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স

বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত