ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইসরায়েলি মন্ত্রীর আল-আকসা সফর

জাতিসংঘের জরুরি বৈঠক ডেকেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও চীন

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭:৫২  
আপডেট :
 ০৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:৩৭

জাতিসংঘের জরুরি বৈঠক ডেকেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও চীন
আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গনে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের উগ্র ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির মঙ্গলবার আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করার পরে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং চীন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে। কূটনীতিকরা রয়টার্সকে বলেছেন, বৃহস্পতিবার কাউন্সিলের সম্মেলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ পরিদর্শন করেন ইসরায়েলের অতি-ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে বেন-গভিরকে ওই স্থানে দেখা গেছে।

বিরোধপূর্ণ আল-আকসা ইহুদি ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র স্থান এবং ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। এটি ইহুদিদের কাছে টেম্পল মাউন্ট নামে পরিচিত, দুটি বাইবেল মন্দিরের স্থান এবং মুসলমানদের কাছে প্রথম কেবলা, হারাম আল-শরিফ, মুহাম্মাদ (স:)-এর মেরাজে আরোহণের স্থান হিসেবে পরিচিত।

ইহুদি এবং অন্যান্য অমুসলিমদের সেখানে যাওয়া এবং প্রার্থনার অনুমতি নেই। তবে বেন-গভির দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে ইহুদিদের প্রবেশাধিকারের আহ্বান জানিয়ে আসছে, যা ফিলিস্তিনিরা উস্কানিমূলক এবং ইসরায়েলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা হিসেবে দেখে।

ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকার শপথ নেয়ার পাঁচ দিন পর বেন-গভিরের সফরে ইতোমধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। ফিলিস্তিনিরা তার এই পরিদর্শনকে একটি ‘নজিরবিহীন উস্কানি’ বলে অভিহিত করেছে এবং উগ্র ডান ইসরায়েলি মন্ত্রীর নিন্দা করেছে।

বেন-গভিরের কর্মকাণ্ড বিশ্বজুড়ে তীব্র নিন্দার জন্ম দিয়েছে, মিশর, জর্ডান, সৌদি আরব, তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত ফিলিস্তিনিদের সাথে তার নিন্দায় যোগ দেয়। ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব এই অনুপ্রবেশকে ‘অভূতপূর্ব উস্কানি’ বলে অভিহিত করেছে।

ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা উগ্রপন্থী মন্ত্রী বেন-গভির দ্বারা আল-আকসা মসজিদে প্রবেশের তীব্র নিন্দা করে এবং এটিকে নজিরবিহীন উসকানি এবং সংঘাতের একটি বিপজ্জনক বৃদ্ধি হিসাবে দেখে।

হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেছেন, বেন-গভির মঙ্গলবার আল-আকসা প্রবেশ করা আমাদের পবিত্র স্থানগুলোতে ইহুদিবাদী দখলদারিত্বের আগ্রাসন এবং আমাদের আরব পরিচয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ধারাবাহিকতা ঘোষণা।

এদিকে, ইসরায়েলের বিরোধীদলীয় নেতা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিড সোমবার সতর্ক করেছিলেন, আল-আকসায় বেন-গভিরের প্রবেশ সহিংসতার জন্ম দেবে এবং এটিকে ‘ইচ্ছাকৃত উস্কানি যা জীবনকে বিপদে ফেলবে’ বলে অভিহিত করেছেন।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মঙ্গলবার একটি বিবৃতি জারি করে দাবি করেছেন, তিনি টেম্পল মাউন্ট [আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গনে] পরিবর্তন ছাড়াই কঠোরভাবে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

অন্যদিকে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, আমরা যেকোন একতরফা ক্রিয়াকলাপের জন্য গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন যুক্তরাষ্ট্র জেরুজালেমের পবিত্র স্থানগুলোর ব্যাপারে ঐতিহাসিক স্থিতিশীলতা রক্ষার পক্ষে দৃঢ়ভাবে অবস্থান করছে।

মঙ্গলবার ইসরায়েলি মিডিয়া জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে নেতানিয়াহুর সংযুক্ত আরব আমিরাতের পরিকল্পিত সফর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। যদিও ইসরায়েলি নেতার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো আল-আকসার ঘটনার সাথে এর কোনও সম্পর্ক অস্বীকার করেছে।

সূত্র : আলজাজিরা

বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত