ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

বাড়িতে অপেক্ষায় ৬ সন্তান, ময়দা কিনতে এসে প্রাণ হারালেন পাকিস্তানি

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯:২৭

বাড়িতে অপেক্ষায় ৬ সন্তান, ময়দা কিনতে এসে প্রাণ হারালেন পাকিস্তানি
কমদামে ময়দা কিনতে হুড়োহুড়ি করছে মানুষ। ছবি: সংগৃহীত

চরম আর্থিক সংকটে ধুঁকছে পাকিস্তান। জ্বালানি সংকটের পর সেখানে উঁকি দিয়েছে খাদ্য সংকটও। সেখানে বেশ কিছু জায়গায় বর্তমানে ২০ কেজি ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজারেরও বেশি দামে। পাকিস্তানের মূল খাবার রুটি বা চাপাটি, যা তৈরি হয় আটা বা ময়দা দিয়েই। সেই ময়দার দামই ধরা ছোঁয়ার বাইরে হওয়ায় অনাহারে সেখানকার বাসিন্দাদের। এই পরিস্থিতে ভর্তুকি দিয়ে ৬৫ রুপি দরে ময়দা বিক্রয় শুরু করছে সরকার। সেই ময়দা কিনতে এসে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হল এক ব্যক্তির।

পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের বাসিন্দা ৩৫ বছরের ওই ব্যক্তির নাম হারসিং কোলহি। বাড়িতে রয়েছে ছয় সন্তান। পরিবারের সদস্যদের মুখে একটু খাবার তুলে দেয়ার জন্য ময়দার সন্ধানে বেরিয়েছিলেন তিনি। সিন্ধ প্রদেশের মিরপুর খাসে সরকারি দোকানে ভর্তুকিযুক্ত ময়দা দেয়া হচ্ছিল। সেখানেই দোকানের সামনে বিশাল লাইন। ময়দা নেওয়ার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন তিনিও। তবে সেখানে সীমিত পরিমাণ ময়দা রয়েছে শুনেই হুড়োহুড়ি শুরু করেন সবাই। তাতেই মুহূর্তের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আর পদপিষ্ট হয়ে মারা যান ওই ব্যক্তি।

এ ঘটনায় সেখানে উপস্থিত লোকজনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং অনেকেই মরদেহটি তুলে স্থানীয় প্রেসক্লাবের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য এগিয়ে আসেন, যেখানে তারা ময়দা সংকটের জন্য দায়ী করে খাদ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন।

এরপর কোলহির মরদেহ রাস্তার মাঝখানে রেখে তারা হায়দ্রাবাদগামী প্রধান সড়ক অবরোধ করে। তারা বিভাগ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। তারা ফেডারেল এবং সিন্ধু সরকারের পাশাপাশি বিচার বিভাগকে গমের ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়ার এবং এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে দাম কমানোর আহ্বান জানিয়েছে।

বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, খাদ্য কর্মকর্তাদের যোগসাজশে কয়েকটি ময়দা মিল কম দামে গমের কোটা পেয়ে আটার দাম কৃত্রিমভাবে বৃদ্ধি করেছে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি পাকিস্তানে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড ছুঁয়েছে খাদ্যদ্রব্যের দাম। ময়দার পাশাপাশি দাম বেড়েছে মাংস, ভোজ্য তেল, ঘি, ডিম, চা, চিনিসহ সব খাদ্যদ্রব্যের। ফলে চরম অর্থাভাবে দিন কাটছে সেখানকার নাগরিকদের।

সূত্র: ডন, ইন্ডিয়া টুডে

বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত