ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় যুদ্ধ ড্রোন রপ্তানিকারক হয়ে উঠেছে চীন

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:০৩

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় যুদ্ধ ড্রোন রপ্তানিকারক হয়ে উঠেছে চীন
চীনা ড্রোন। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বব্যাপী অস্ত্র স্থানান্তর পর্যালোচনাকারী সংস্থা স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই)-এর তথানুসারে চীন গত এক দশকে ১৭ টি দেশে প্রায় ২৮২টি যুদ্ধ ড্রোন সরবরাহ করেছে। যা এটিকে অস্ত্রযুক্ত বিমানের বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় রপ্তানিকারক করে তুলেছে।

এসআইপিআরআই-এর তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্র- যার কাছে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত ইউএভি রয়েছে একই সময়ের মধ্যে মাত্র ১২টি যুদ্ধ ড্রোন সরবরাহ করেছে, সেগুলোর সবকটিই ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যে গেছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও নিরস্ত্র নজরদারি ড্রোন রপ্তানিতে এগিয়ে রয়েছে।

এসআইপিআরআই জানয়েছে, গত এক দশকে যুদ্ধ ড্রোনের জন্য বিশ্ব বাজারে চীনের আধিপত্য আংশিকভাবে রাষ্ট্রীয় অর্থায়নের কারণে, যা দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে বিশ্বমানের মান-এ উন্নীত করতে চায়।

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ড্রোনকে যুদ্ধের পরিস্থিতি গভীরভাবে পরিবর্তন করতে সক্ষম বলে বর্ণনা করেছেন এবং গত বছর কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসের সময় যুদ্ধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ড্রোনের বিকাশকে ত্বরান্বিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

সৌদি আরব থেকে মিয়ানমার এবং ইরাক থেকে ইথিওপিয়া, বিশ্বজুড়ে আরও বেশি সংখ্যক সামরিক বাহিনী চীনা যুদ্ধের ড্রোন মজুত করছে এবং যুদ্ধক্ষেত্রে মোতায়েন করছে।

ইয়েমেনে, সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট একটি বিধ্বংসী বিমান অভিযানের অংশ হিসাবে চীনা ড্রোন পাঠিয়েছে, যাকে অপরিবর্তিত বিমান যান বা ইউএভি নামেও পরিচিত, যা গত আট বছরে ৮ হাজারের এরও বেশি ইয়েমেনি বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে।

ইরাকের কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা ২০১৮ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত আইএসআইএল (আইএসআইএস) লক্ষ্যবস্তুতে ২৬০টিরও বেশি বিমান হামলা চালানোর জন্য চীনা ড্রোন ব্যবহার করেছে, সাফল্যের হার প্রায় ১০০ শতাংশ।

মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী চীনা ড্রোন দিয়ে দুই বছর আগে তার ক্ষমতা দখলের বিরোধিতাকারী বেসামরিক নাগরিক এবং জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর উপর শত শত বিমান হামলা চালিয়েছে ।

চীনের কমব্যাট ড্রোনের অন্যান্য ক্রেতার মধ্যে রয়েছে, মরক্কো, মিশর, আলজেরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), পাকিস্তান এবং সার্বিয়া অন্তর্ভুক্ত।

এদিকে নিজেদের তৈরী ড্রোন ব্যাবহার করছে চীনা সামরিক বাহিনী। মার্কিন হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির স্ব-শাসিত দ্বীপে সফরের পর সেপ্টেম্বরে তাইওয়ানের চারপাশে অনুশীলনে বিপুল যুদ্ধ ড্রোন মোতায়েন করেছিল।

চীনের সামরিক বিমান চালনা বিশেষজ্ঞ ফু কিয়ানশাও সেপ্টেম্বরে কমিউনিস্ট পার্টির মালিকানাধীন গ্লোবাল টাইমস ট্যাবলয়েডকে বলেন, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে যেকোন সংঘর্ষে ড্রোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

পশ্চিমা বিশ্লেষকরাও বলছেন পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) যে কোনো যুদ্ধের শুরুতে ভূখণ্ডের আকাশ প্রতিরক্ষাকে অভিভূত করার জন্য বিপুল সংখ্যক ড্রোন ব্যবহার করতে পারে।

সূত্র: আলজাজিরা

বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত