ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

নির্বাচনে জিতে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করব: ইমরান খান

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:৩৩

নির্বাচনে জিতে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করব: ইমরান খান
ইমরান খান। ছবি: সংগৃহীত

আবারও ক্ষমতায় ফিরে আসার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এছাড়াও ক্ষমতায় ফিরে দেশে অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে এবং ঋণ খেলাপির ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছে ইমরান।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে ইমরান খান বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা জিতবেন বলে আশা করেন, যা সম্ভবত আগস্টের পরে অনুষ্ঠিত হবে। ইমরান আরও বলেন, অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি একটি আমূল পরিকল্পনা প্রস্তুত করছেন। তিনি দাবি করেন, আগে কখনো এমন নীতি তৈরি হয়নি।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে রাজনৈতিক অস্থিরতা এত বেশি যে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অসম্ভব হয়ে পড়েছে, পাকিস্তানে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা কেবল পরিষ্কার ও স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমেই সম্ভব।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিপজ্জনকভাবে একটি ঋণ খেলাপির কাছাকাছি চলে গেছে। অক্টোবর থেকে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অর্ধেকে নেমে এসেছে, যা এখন এক মাসের আমদানির জন্য অপর্যাপ্ত। দেশটি এখনও গত বছরের বিপর্যয়কর বন্যার প্রভাব থেকে ভুগছে এবং ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতিতে ভুগছে।

পাকিস্তানের আঞ্চলিক প্রতিবেশী দেশের খেলাপির কথা উল্লেখ করে ইমরান খান বলেন, আমরা শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতির আশঙ্কা করছি।

ইমরান খান আরও জানান, ক্ষমতায় গেলে তিনি শওকত তারিনকে অর্থমন্ত্রী হিসাবে পুনরায় নিয়োগ দেবেন। যিনি আগের খান প্রশাসনে এই পদেই ছিলেন।

ইমরান খানের সরকারের শেষ বড় সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে একটি ছিল জ্বালানির দাম কমানো, যার ফলে আইএমএফ ঋণ স্থগিত করেছিল। তবে ইমরানের দাবি তার সিদ্ধান্ত রাশিয়া থেকে ছাড়ের জ্বালানী পাওয়ার ভিত্তিতে ছিল।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া যেদিন ইউক্রেন আক্রমণ করেছিল সেদিন ইমরান খান পূর্ব নির্ধারিত সফরে মস্কোতে ছিলেন। তিন ঘণ্টার কথোপকথনে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পাকিস্তানকে শক্তি সরবরাহে সাহায্য করার অঙ্গীকার করেছিলেন।

সাক্ষাৎকারে ইমরান খান আরও বলেছেন, তিনি একটি স্বাধীন বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করবেন যা যুক্তরাষ্ট্র বা চীনের মতো কোনও একক দেশের উপর নির্ভর করবে না। তিনি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের উদাহরণ দিয়েছেন, যার যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে কিন্তু তবুও রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করে এবং চীনের সাথে বাণিজ্য করে।

সাবেক মার্কিন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে তার একটি দুর্দান্ত সম্পর্ক ছিল, তবে তার উত্তরসূরির জো বাইডেনের অধীনে সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল বলে অীভযোগ করেন ইমরান। তিনি বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, এটি ঘটেছে কারণ যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য কাউকে দায়ী করার প্রয়োজন ছিল।

সূত্র: এনডিটিভি

বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত