মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা, নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জান্তা সরকার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:১৭

মিয়ানমারের ওপর নতুন করে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা। মঙ্গলবার ক্ষমতা দখলের দ্বিতীয় বার্ষিকীতে জ্বালানি কর্মকর্তা ও জান্তা সদস্যদের ওপর বেশ কিছু আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এলো।
|আরো খবর
২০২০ সালের নভেম্বরে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। ওই নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল দেশটির গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন দল। কিন্তু ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে সু চিকে বন্দি করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের ইউনিয়ন নির্বাচন কমিশন, খনির উদ্যোক্তারা, জ্বালানি কর্মকর্তা এবং বর্তমান ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।
ট্রেজারি বিভাগের একজন মুখপাত্র বলেছেন, এই প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের বর্তমান নিষেধাজ্ঞা কর্মসূচির অধীনে মিয়ানমারের তেল ও গ্যাস এন্টারপ্রাইজ (এমওজিই) কর্মকর্তাদেরও লক্ষ্যবস্তু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাজ্য এদিন মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
এটা জান্তা সরকারের সর্বোচ্চ আয় করা মিয়ানমারের সরকারি প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন অনেক দিন ধরেই এমওজিই-র উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের তাগিদ দিয়ে আসছিল।
গত শুক্রবার মিয়ানমারের জান্তা সরকার এ বছর অগাস্ট মাসের মধ্যে দেশটিতে নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি নেয়। কিন্তু নির্বাচনে অংশ নিতে যোগ্য হতে রাজনৈতিক দলগুলোর সামনে কঠোর শর্ত বেঁধে দিয়েছে তারা। তারমধ্যে অন্যতম হলো রাজনীতিতে বৃহৎ আকারে সেনাসদস্যদের অন্তর্ভুক্তি। যাতে ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতেই থাকে এবং বিরোধীরা সবসময় কোণঠাসা হয়ে পড়ে।
তারা যেসব নিয়ম বেঁধে দিয়েছে তার সবই সাবেক জেনারেলদের নিয়ে গঠিত ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির পক্ষে গেছে। ২০১৫ ও ২০২০ সালের নির্বাচনে এ দলটিকে ধরাশায়ী করে ক্ষমতায় গিয়েছিল সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি।
বাংলাদেশ জার্নাল/সামি