ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইন্দিরা-রাজীব গান্ধীর হত্যা নিছক একটি দুর্ঘটনা: বিজেপি মন্ত্রী

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৩:৩৩

ইন্দিরা-রাজীব গান্ধীর হত্যা নিছক একটি দুর্ঘটনা: বিজেপি মন্ত্রী
ইন্দিরা গান্ধী এবং রাজিব গান্ধী। ফাইল ছবি

শহীদ হওয়া গান্ধী পরিবারের একচেটিয়া অধিকার নয়। ইন্দিরা ও রাজীব গান্ধীর শহিদ হওয়া প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করেছেন উত্তরাখণ্ডের কৃষক কল্যাণ ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গণেশ যোশী। শুধু তাই নয়, ইন্দিরা গান্ধী ও রাজীব গান্ধীর হত্যার ঘটনা নিছক একটি ‘দুর্ঘটনা’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রার’ সমাপ্তি হয়। শ্রীনগরে ‘ভারত জোড়ো যাত্রার’ সমাপ্তি ভাষণে রাহুল তার দাদি ইন্দিরা গান্ধী এবং বাবা রাজীব গান্ধীর হত্যার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, হিংসায় উস্কানিদাতারা কখনও সেই যন্ত্রণা বুঝবে না। এ প্রসঙ্গেই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবেই গান্ধী পরিবারের শহিদ হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন গণেশ যোশী। রাহুল গান্ধীকেও খোঁচা দিতে ছাড়েননি তিনি।

ভারতের সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রীর হত্যা প্রসঙ্গে গণেশ যোশী বলেন, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য ভগৎ সিং, সাভারকার এবং চন্দ্রশেখর আজাদদের শহিদ হতে দেখেছে বিশ্ব। তবে গান্ধী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যেটা ঘটেছিল, সেটি দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা এবং শহিদ হওয়ার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।

এদিকে, অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই জম্মু-কাশ্মীরে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা সমাপ্তি হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই কৃতিত্ব দেন গণেশ যোশী। তিনি বলেন, এর সম্পূর্ণ কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। যদি তার নেতৃত্বে যদি ৩৭০ ধারার বিলুপ্তি না ঘটত এবং জম্মু- কাশ্মীর স্বাভাবিক ছন্দে না ফিরত, তাহলে রাহুল গান্ধী লালচকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারতেন না।

উল্লেখ্য, ইন্দিরা গান্ধী ভারতের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর তাকে হত্যা করা হয়। ইন্দিরা গান্ধী নিহত হওয়ার পর তার বড় ছেলে রাজীব গান্ধী দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তবে ১৯৯১ সালে তাকেও হত্যা করা হয়।

সূত্র: এনডিটিভি

বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত