এশিয়ার র্শীষ ধনীর তকমা হারালেন গৌতম আদানি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৫:০৩ আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:৩৯
এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির তকমা হারালেন ভারতের বৃহৎতম শিল্পগোষ্ঠী আদানি গ্রুপের কর্ণধার গৌতম আদানি। তাকে টপকে আবারও এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির স্থান দখল করলেন আরেক ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানি।
যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক লগ্নি সংক্রান্ত গবেষণাকারী সংস্থা হিনডেনবার্গের রিপোর্টের মুখে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার বাজার টালমাটাল। হিনডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকেই শেয়ার বাজারে হু হু করে কমতে থাকে আদানিদের শেয়ারের দাম। গত কয়েক দিনে প্রায় ৭৪ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এই সংস্থা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ৭৪ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে বিশ্বের র্শীষ ধনীদের তালিকায় গৌতম আদানি তিন থেকে ১৩-তে নেমে এসেছেন। ফোর্বসের বিলিনিয়ার ইনডেক্সে অনুসারে, বুধবার গৌতম আদানি সম্পদের পরিমাণ ছিল ৮০.৩ বিলিয়ন ডলার।
অন্যদিকে, ফোর্বসের বিলিনিয়ার ইনডেক্সে অনুসারে, বুধবার বিশ্বের র্শীষ ধনীদের তালিকায় র্শীষ ১০-এ অবস্থান প্রবেশ করেছেন ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানি। ৮৩.৭ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে বর্তমানে বিশ্বের র্শীষ ধনীদের তালিকায় নবম অবস্থানে রয়েছেন তিনি।
গত সপ্তাহে ভারতের বৃহৎতম শিল্পগোষ্ঠী আদানির বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ করে হিনডেনবার্গ। হিনডেনবার্গের অভিযোগ, কৃত্রিম ভাবে শেয়ারের দর কয়েক গুণ বাড়িয়ে আদানিরা বিশাল সম্পদ তৈরি করেছেন। কারচুপি করেই গত ৩ বছরে আদানির শেয়ার সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৮০০ শতাংশের বেশি। হিনডেনবার্গের এই রিপোর্টের জেরে আদানিদের শেয়ারের দাম মুখ থুবড়ে পড়ছে।
যদিও হিনডেনবার্গের রিপোর্ট মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে পাল্টা দাবি করেছে আদানি গোষ্ঠী। তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করে লগ্নিকারীদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে এই শিল্পগোষ্ঠী।
হিনডেনবার্গের রিপোর্টের পাল্টা হিসাবে ৪১৩ পৃষ্ঠার জবাব দিয়েছে আদানি। যেখানে দাবি করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা। আত্মপক্ষ সমর্থনে কিছু প্রমাণও দেখিয়েছে শিল্পগোষ্ঠীটি । তবে এরকোনও প্রভাব পড়েনি। প্রতিদিনই ব্যাপক হারে কমছে সংস্থটির শেয়ারদর।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর
