ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

মার্কিন আকাশে নজরদারি বেলুন, ব্লিঙ্কেনের চীন সফর স্থগিত

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৬:৩৯

মার্কিন আকাশে নজরদারি বেলুন, ব্লিঙ্কেনের চীন সফর স্থগিত
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় একটি কথিত চীনা গুপ্তচর বেলুনের উপস্থিতির জেরে চীন সফর স্থগিত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এই ঘটনাকে দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য একটি অগ্রহণযোগ্য লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন তিনি ৷

শুক্রবার বিকেলে এক সংবাদসম্মেলনে ব্লিঙ্কেন বলেন, বেলুনের ঘটনাটি এই সফরের উদ্দেশ্যকে "ক্ষুণ্ণ" করেছে, যা রোববার শুরু হওয়ার কথা ছিল। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উপর এই নজরদারি বেলুনের উপস্থিতি আমাদের সার্বভৌমত্বের ও আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন, যা স্পষ্টভাবে অগ্রহণযোগ্য।

যদিও চীন বেলুনটি মার্কিন আকাশে প্রবেশের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, এটি একটি অতিউচ্চতার নজরদারি বেলুন।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার একটি বিবৃতি জারি করেছে, যেখানে এটিকে আবহাওয়া গবেষণার জন্য ব্যবহৃত একটি বেসামরিক এয়ারশিপ হিসাবে বর্ণনা করেছে। যা তার সীমিত স্ব-স্টিয়ারিং ক্ষমতার কারণে পরিকল্পিত পথ থেকে অনেক দূরে সরে গেছে।

বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, চীন সর্বদা কঠোরভাবে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলে এবং সব দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করে।

মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ব্লিঙ্কেনের সফর নিয়ে ওয়াশিংটন এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনও ঘোষণা করেনি এবং মার্কিন ঘোষণাগুলো তাদের নিজস্ব বিষয় এবং আমরা এটিকে সম্মান করি।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি পৃথক বিবৃতিতে বলেছে, চীনের সেন্ট্রাল কমিশন ফর ফরেন অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক ওয়াং ই শুক্রবার সন্ধ্যায় ফোনে ব্লিঙ্কেনের সাথে কথা বলেছেন এবং কীভাবে দুর্ঘটনাজনিত ঘটনাগুলিকে শান্ত ও পেশাদার পদ্ধতিতে মোকাবেলা করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

ওয়াং ব্লিঙ্কেনকে বলেছিলেন, উভয় পক্ষকে সময়মত যোগাযোগ করতে হবে এবং যেকোনও ভুল ধারণা এড়াতে হবে।

বেইজিং এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্ক সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাণিজ্য সমস্যা, তাইওয়ান ইস্যু, দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের দাবি এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরে ক্রমবর্ধমান চীনা প্রভাবের নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ব্লিঙ্কেনের স্থগিত সফরটি সেই উত্তেজনাগুলোর কিছু প্রশমিত করার লক্ষ্যে ছিল। ২০১৮ সালের পর এটি হত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম চীন সফর।

সূত্র: আলজাজিরা, রয়টার্স

বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত