ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প: নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৬শ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৩:০৪  
আপডেট :
 ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৮:৫০

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প: নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৬শ
প্রাণহানি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে মধ্য তুরস্ক এবং উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায়। এই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত সিরিয়া ও তুরস্কে কমপক্ষে ১ হাজার ৬০০ জন নিহত এবং ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। এরমধ্যে ৯১২ জন তুরস্কে এবং সিরিয়ায় ৫৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে তুরস্কের সাতটি প্রদেশের অন্তত দশটি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহরগুলো হলো গাজিয়ান্তেপ, কাহরামানমারাস, হাতে, ওসমানিয়া, আদিয়ামান, মালাতিয়া, সানলিউরফা, দিয়ারবাকির এবং কিলিস। এই সাতটি প্রদেশে এখনো পর্যন্ত ৯১২ জন নিহত এবং ৩ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতাই।

অন্যদিকে সিরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়েদেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, সিরিয়ার আলেপ্পো, হামা এবং লাকাতিয়া শহরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই ভূমিকম্পে। এই তিনটি শহরে এখনো পর্যন্ত অন্তত ৩৩৯ জন নিহত এবং ছয় শতাধিক আহত হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের সংবাদ অনুযায়ী বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা আরও ২২১ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪ টা ১৭ মিনিটে প্রথম দফায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানার ১১ মিনিট পর আরও একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে তুরস্কের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের একটি এলাকায়। এ দফায় ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭। এর মাত্র ২ ঘণ্টার মধ্যেই ২০ বার আফটার শক অনুভূত হয়েছে তুরস্ক, সিরিয়া ও তার আশেপাশের এলাকায়। ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে, তুরস্ক ও সিরিয়া ছাড়াও লেবানন এবং সাইপ্রাসেও এর ঝাঁকুনি অনুভূত হয়েছে। এমনকি মিসরের রাজধানী কায়রোতেও এর তীব্রতা টের পাওয়া গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ (ইউএসজিএস) এর দেয়া তথ্যানুসারে, তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ প্রদেশের নূরদাগি শহরের পূর্বাঞ্চল ছিল ভূমিকম্পটির উপকেন্দ্র। জায়গাটি নূরদাগি থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। ভূমিকম্পটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার গভীরে উৎপত্তি হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএসজিএস। ইউএসজিএস জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফায় ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে।

সিরিয়ার সীমান্তবর্তী গাজিয়ান্তেপ তুরস্কের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প এলাকা। ভূমিকম্পটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, সিরিয়া, লেবানন এবং সাইপ্রাস থেকেও এই ভূমিকম্পের তীব্রতা অনুভূত হয়েছে।

আরও পড়ুন: তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত ছাড়াতে পারে ১০ হাজার: ইউএসজিএস

বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত