ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত ছাড়াতে পারে ১০ হাজার: ইউএসজিএস

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৬:১৭  
আপডেট :
 ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৬:৪৮

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত ছাড়াতে পারে ১০ হাজার: ইউএসজিএস
ধ্বংসস্তুপের নিচে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজ অব্যাহত রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে মধ্য তুরস্ক এবং উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায়। এই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত সিরিয়া ও তুরস্কে কমপক্ষে ১ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি নিহত এবং ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। তবে এ সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আভাস দিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)।

মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থাটি জানিয়েছে, এই অঞ্চলে ভূমিকম্পের পূর্বের ইতিহাস, জনসংখ্যা, কম্পন এবং ভবনের অবকাঠামোর ওপর ভিত্তি করে একটি পর্যালচনায় দেখা যায়, নিহতের সংখ্যা ১ হাজার থেকে ১০ হাজারে পৌঁছানোর আশঙ্কা রয়েছে ৪৭ শতাংশ। এছাড়াও ১০ থেকে ১ লাখে নিহত পৌঁছানার শঙ্কা রয়েছে ২০ শতাংশ।

ইউএসজিএস আরও বলছে, যে এলাকাগুলোতে মারাত্বক কম্পন অনুভূত হয়েছে সেখানে বাস করত প্রায় ৭০ হাজার মানুষ। এছাড়াও ৫ লাখ ৪০ হাজার মানুষের বাস এম এলাকায় তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছে। এই সব পরিসংখ্যান পর্যালচনা করে অনুমান করা হচ্ছে তুরস্ক এবং সিরিয়া উভয় ক্ষেত্রেই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে তুরস্কের সাতটি প্রদেশের অন্তত দশটি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহরগুলো হলো গাজিয়ান্তেপ, কাহরামানমারাস, হাতে, ওসমানিয়া, আদিয়ামান, মালাতিয়া, সানলিউরফা, দিয়ারবাকির এবং কিলিস। এই সাতটি প্রদেশে এখনো পর্যন্ত ৯১২ জন নিহত এবং ৩ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতাই। আশঙ্কা করা হচ্ছে ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকেই চাপা পড়েছেন।

অন্যদিকে সিরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়েদেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, সিরিয়ার আলেপ্পো, হামা এবং লাকাতিয়া শহরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই ভূমিকম্পে। এই তিনটি শহরে এখনো পর্যন্ত অন্তত ৩২৬ জন নিহত এবং ২হাজারের বেশি আহত হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের সংবাদ অনুযায়ী বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা আরও ১২০ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ইউএসজিএস-এর দেয়া তথ্যানুসারে, সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪ টা ১৭ মিনিটে প্রথম দফায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানার ১১ মিনিট পর আরও একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে তুরস্কের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের একটি এলাকায়। এ দফায় ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭। এর মাত্র ২ ঘণ্টার মধ্যেই অন্তত ২০ বার আফটার শক অনুভূত হয়েছে তুরস্ক, সিরিয়া ও তার আশেপাশের এলাকায়।

আরও পড়ুন, তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প: নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৩শ

ইউএসজিএস আরও জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, সিরিয়া, লেবানন এবং সাইপ্রাস থেকেও এই ভূমিকম্পের তীব্রতা অনুভূত হয়েছে। এমনকি মিসরের রাজধানী কায়রোতেও এর তীব্রতা টের পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, তুরস্ক বিশ্বের অন্যতম সক্রিয় ভূমিকম্প অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে। ১৯৯৯ সালে ৭.৪ মাত্রার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলির মধ্যে একটি ছিল ডাজসি এবং এই ভূমিকম্প কয়েক দশকের মধ্যে তুরস্কে সবথেকে মারাত্মক আঘাত হানা একটি ভূমিকম্প। সেই ভূমিকম্পে ইস্তাম্বুলে প্রায় ১ হাজার সহ ১৭ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছিল।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত