ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

পাঞ্জাবে বিনামূল্যে আটা নিতে গিয়ে হুড়োহুড়ি, নিহত ২

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৩, ১৬:৩৭

পাঞ্জাবে বিনামূল্যে আটা নিতে গিয়ে হুড়োহুড়ি, নিহত ২
সংগৃহীত ছবি

পবিত্র রমজান মাসে সরকারের দেয়া বিনামূল্যের আটা আনতে গিয়ে পদদলিত হয়ে পাকিস্তানে পাঞ্জাবে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন পুরুষ ও অন্যজন বৃদ্ধা। এছাড়া হুড়োহুড়ি ও পদদলনের ঘটনায় আরও ৫৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৪৫ জন নারী। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

ডনের খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার পাঞ্জাব প্রদেশের সাহিওয়াল, বাহাওয়ালপুর, মুজাফফরগড় এবং ওকারা জেলায় বিনামূল্যে আটা বিতরণ করা হয়। এসময় দেশটির কায়েদ-ই-আজম স্টেডিয়ামে স্থাপিত বিতরণ কেন্দ্রে বিনামূল্যে আটা সংগ্রহ করতে আসা এক বৃদ্ধা পদদলিত হয়ে নিহত হয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের আঘাত পেয়ে আহত হন আরও ৪৫ নারী।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, আটা নিতে আসা ব্যক্তিদের যাচাই করতে ব্যবহৃত অ্যাপটি প্রযুক্তিগত ত্রুটির মুখে পড়ে এবং কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এর ফলে বিনামূল্যে আটা বিতরণে প্রচুর লোকের ভিড় দেখা দেয়। ভিড় জমানো এসব মানুষ সিস্টেমটি পুনরায় কাজ শুরু করার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করেন এবং এর কারণে অনেকে হতাশ হয়ে পড়েন।

অন্যদিকে দেড় হাজারেরও বেশি নারী সেসময় ময়দা নিতে স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন। পরে সেখানে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।

এদিকে আটা বিতরণ কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য অনেক নারী পুলিশকে দায়ী করেছেন। তাদের অভিযোগ, সেখানে অনেক লোকের ভিড় থাকলেও কেন্দ্রে নিযুক্ত সিভিল লাইন পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ব্যক্তিদের মারধর ও লাঠিচার্জ শুরু না করা পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত ছিল। তবে মারধর ও লাঠিচার্জ শুরুর পর বিশৃঙ্খলা দেখা যায় এবং এর কারণে পদদলনের ঘটনা ঘটে।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, প্রশাসনের অ্যাপটি বন্ধ হয়ে যায় এবং লোকজন ভিড় ও দীর্ঘ লাইনে আটকে অস্বস্তিতে চিৎকার করতে থাকে। পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার পরিবর্তে তারা লাঠিচার্জ শুরু করে। এসময় নারীদের চড় ও ধাক্কা মারতেও দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের। এর ফলে ভিড় আরও বেশি উত্তেজিত হয়ে ওঠে এবং পরিস্থিতির অবনতি হয়ে পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটে।

নিহত নারীর নাম নাসিম আক্তার। তিনি সাহিওয়াল শহরের কারবালা রোডের বাসিন্দা আমিরের স্ত্রী।

রেসকিউ ১১২২-এর কর্মকর্তা আদনান শামাস ডনকে জানান, ছয়টি জরুরি যানবাহন ও কর্মীরা আহত নারী ও পুরুষদের চিকিৎসা দিয়েছেন। আহত ২৫ নারীকে আরও চিকিৎসার জন্য সাহিওয়াল টিচিং হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং বাকিদের ঘটনাস্থলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নকভি পদদলিত হয়ে প্রাণহানির ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/সামি/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত