ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ আপডেট : ৩ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

বিজেপির পরাজয়, কর্ণাটকের ক্ষমতায় ফিরলো কংগ্রেস

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ১৩ মে ২০২৩, ১৮:০২

বিজেপির পরাজয়, কর্ণাটকের ক্ষমতায় ফিরলো কংগ্রেস
সংগৃহীত ছবি

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে বিজেপিশাসিত রাজ্য কর্ণাটকে বিপুল সাফল্য পেয়েছে কংগ্রেস। এর মাধ্যমে বর্তমান ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি) হারিয়ে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে রাহুল গান্ধীর দল। আসন সংখ্যায় পিছিয়ে পড়ার পরপরই পরাজয় স্বীকার করেছেন বিজেপির প্রতিনিধিত্বকারী কর্ণাটকের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বাষাভরাজ বোম্মাই।

মোট ২২৪ আসনের মধ্যে ১৩৯টি আসনে জয় লাভ করেছে কংগ্রেস, যেখানে বিজেপি পেয়েছে ৬২টি আসন। ধর্মনিরপেক্ষ জেডিএস পেয়েছে ২০টি আসন আর অন্যান্য দলগুলো পেয়েছে ৩টি আসন।

শনিবার হার স্বীকার করে মুখ্যমন্ত্রী বোম্মাই বলেন, পূর্ণাঙ্গ ফলাফল আসার পর আমরা বিশ্লেষণ করব। একটি জাতীয় দল হিসেবে, আমরা কেবল বিশ্লেষণ করব না, বিভিন্ন স্তরে কী কী ঘাটতি বা ফাঁক রয়েছে তাও দেখব। আমারা এ ফলাফল মেনে নিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গতবারের তুলনায় বিজেপির ৪০টি আসন কমেছে। কংগ্রেসের বেড়েছে ৫৪টি আসন। কোনো রাজ্যে আবার একক ক্ষমতায় সরকার গঠন করতে চলেছে কংগ্রেস। তামিলনাড়ুতে তারা ডিএমকের সঙ্গে ক্ষমতায় আছে। আর দক্ষিণ ভারতে বিজেপি আর কোথাও ক্ষমতায় থাকলো না।

এদিকে দক্ষিণের এ গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে বিজয়ের পর বেঙ্গালুরু ও দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দপ্তরে শুরু হয়েছে উৎসব। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, কর্ণাটকে হিংসার বাজার বন্ধ হয়েছে, ভালোবাসার দোকান খুলেছে। পাশাপাশি এই ফলাফলের জন্য তিনি কর্ণাটকবাসীকে ধন্যবাদ জানান।

কর্ণাটক হলো কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের রাজ্য। তিনি এখানে মাটি কামড়ে পড়ে ছিলেন। রাহুল গান্ধীও কর্ণাটকে ১২ দিন সময় দিয়েছেন। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ২৬টি জনসভা ও রোড শো করেছেন। সোনিয়া গান্ধী পর্যন্ত অনেক দিন পর ভোটের প্রচারে নেমেছেন।

সবচেয়ে বড় কথা, কর্ণাটকে কংগ্রেসের রাজ্য নেতারা খুবই শক্তিশালী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শিবকুমার খুবই দক্ষ সংগঠক। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার জনভিত্তি আছে। ভোটের আগে বিজেপির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার এবং উপমুখ্যমন্ত্রী সাভাড়ি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন এবং ভোটে লড়েছেন।

অন্যদিকে বিজেপির প্রচারে সবচেয়ে বড় মুখ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি ও অমিত শাহ সবচেয়ে বেশি জনসভা ও রোড শো করেছেন। রাজ্য নেতাদের মধ্যে প্রার্থী করা নিয়ে প্রচুর ক্ষোভ ছিল। আর ভোট সমীক্ষাগুলোর মতে, মানুষের ক্ষোভ ছিল দুর্নীতি, চাকরি না পাওয়া ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে।

বাংলাদেশ জার্নাল/সামি/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত