হাইতিতে ৪.৯ মত্রার ভূমিকম্প, নিহত ৩
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৩, ১৭:১৯

হাইতির পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিকম্পে তিনজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত আরও ৩৬ জন। আশঙ্কা করা হচ্ছে ধ্বংসস্তূপের ভেতর আরও অনেকে আটকা পড়ে আছেন। বুধবার বার্তা সংস্থা এএফপি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
|আরও খবর
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানায়, রিখটার স্কেলে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.৯। পোর্ট-অ-প্রিন্সের ১৮৫ মাইল পশ্চিমে গ্র্যান্ড আনজ বিভাগ উপকূলের পাঁচ কিলোমিটার দূরে স্থানীয় সময় ভোর পাঁটার পরপরই এ ভূমিকম্প আঘাত হানে।
হাইতি রেডক্রস জানায়, এখনো যারা ধ্বংসস্তূপের ভেতরে আটকা পড়ে রয়েছে তাদের সন্ধানে জরুরি বিভাগের কর্মীরা কাজ করছে। সংস্থাটি জানায়, জীবিতদের সন্ধানে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হতাহতদের বেশিরভাগই জেরিমি শহরের সেন্ট হেলেনের পার্শ্ববর্তী দরিদ্র এলাকার বাসিন্দা। এএফপির এক ফটোগ্রাফার সেখানে বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ির ফাটল দেখেছেন।
গ্র্যান্ড আনজের নাগরিক সুরক্ষা প্রধান ক্রিস্টিন মনকুয়েলা এএফপিকে বলেন, নিহতদের তিনজন একই পরিবারের সদস্য। ঘর ধ্বসে পড়ায় তারা প্রাণ হারায়।
১৯ বছর বয়সী কাতিয়ানা পিয়েরে বলেন, আমি কি করবো জানি না। তিনি এ ভূমিকম্পে তার স্বামী ও ছোট বোনকে হারিয়েছেন। আমি সবকিছু হারিয়েছি। ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৩৬ জন আহত হয়েছে। ক্যারিবীয় এ দেশটিতে প্রায় ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্প আঘাত হানতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন...হাইতিতে বন্যা-ভূমিধসে নিহত ৪২
এর আগে সোমবার প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্রটিতে ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন অন্তত ৮৫ জন। এঘটনায় বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ১৩ হাজার ৩০০ বাড়ি ভেঙে গেছে। রাস্তাগুলো নদীর রূপ ধারণ করেছে। এতে শহরের বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
২০১০ সালে দেশটিতে রিখটার স্কেলে ৭.০ মাত্রা একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে দুই লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারায়। ভয়াবহ এ ভূমিকম্পের আঘাতে রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় এবং ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ জার্নাল/সামি