মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসছে নিরাপত্তা পরিষদ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪১
মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরপরই এই বৈঠক ডাকা হলো।
স্থানীয় সময় বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল ১০টায় নিউইয়র্কে জাতসংঘের সদর দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের দূত ড্যানি ড্যানন এক চিঠিতে ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছেন, তারা (ইরান) ইসরায়েলকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে।
তিনি ইরানের প্রতি নিন্দা জানাতে এবং ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পসকে (আইআরজিসি) ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে আখ্যা দিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রায় ২০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। গাজা ও লেবাননে হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি হামাস, হিজবুল্লাহ এবং আইআরজিসি নেতাদের হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরাইলের বিরুদ্ধে এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে তেহরান।
এ হামলার কিছুক্ষণ আগেই যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, ইরান ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। হোয়াইট হাউসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এমন তথ্য জানিয়েছেন বলে সিএনএনের লাইভে বলা হয়।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ইরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইঙ্গিত রয়েছে।
বিবৃতিতে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, আমরা এই হামলা থেকে ইসরায়েলকে রক্ষা করার জন্য প্রতিরক্ষামূলক প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এদিকে, আলজাজিরার খবর অনুযায়ী, ইরানের হামলার কয়েক ঘণ্টা পর প্রথমবারের মতো বক্তব্য দিয়েছেন নেতানিয়াহু। তিনি কার্যত পশ্চিম জেরুজালেমের ভূগর্ভস্থ একটি বাংকারে নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠক করছিলেন।
নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরান বড় ভুল করেছে এবং এর জন্য তাদের চড়া মূল্য দিতে হবে। ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যের যেকোনো স্থানে তার শত্রুদের আঘাত করবে; তা গাজা, লেবানন, ইরান, ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন—যেখানেই হোক এবং এই তালিকা আরও বড় হতে পারে।
তিনি বলেন, ইসরায়েলিদের পাল্টা আঘাত তাদের নির্বাচিত সময় ও স্থানে দেয়া হবে। অবশ্য এমন কথা ইরানের হামলার পর থেকেই ইসরায়েলের সামরিক ও রাজনৈতিক মহল থেকে শোনা যাচ্ছে। তারা বলছেন, নেতানিয়াহু জবাবের নির্দেশনা দিলে পাল্টা হামলা হবে। তবে এবারের হামলা জবাব না দিয়ে ছাড় দেয়া হবে না।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ