ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর বিশ্ববাজারে বাড়ল তেলের দাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:৪০ আপডেট : ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:৫০
মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর অপরিশোধিত তেল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় দাম বেড়েছে বলে রয়টার্স ও আলজাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেবাননে ইসরায়েলের হামলার মধ্যে ইরান মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে তেলআবিবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। তেল সরবরাহকারী অন্যতম দেশ ইরানের সামরিক পদক্ষেপে উদ্বিগ্ন বিশ্ব। এতে যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আরও তীব্র হলো।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ইরানের হামলার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম ১ ডলারের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
মূলত মধ্যপ্রাচ্যে আরও বৃহৎ সংঘাত এবং চলমান উত্তেজনার কারণে তেল সরবরাহে বিঘ্নিত হওয়ার শংকায় এ মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
সর্বাত্মক যুদ্ধ বাধলে তেল সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় ব্যারেল প্রতি ১.০৫ ডলার বা ১.৪৮ শতাংশ দাম বেড়ে ৭০.৮৬ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। অপরদিকে ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেল ৮৩ সেন্ট বা ১.১৩ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি দাম ৭৪.৩৯ ডলার হয়েছে।
মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তথ্য অনুযায়ী, ইরান বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ। শিয়া প্রধান দেশটি তেল উৎপাদনকারী দেশের সংস্থা ওপেকের তৃতীয় বৃহত্তম সদস্য। এই অঞ্চলের প্রধান তেল উৎপাদনকারী রাষ্ট্রটি মঙ্গলবার ইসরায়েলে ১৮০ টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, লেবানন ও গাজার যুদ্ধে ইরানের সরাসরি সম্পৃক্ততা তেল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটার সম্ভাবনা বাড়িয়েছে।
ক্যাপিটাল ইকোনমিক্সের একটি নোটে বলা হয়েছে, ইরানের বড় ধরনের হামলা যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধে টেনে নিতে পারে। ইরান বিশ্ব তেল উৎপাদনের প্রায় ৪ শতাংশ জোগান দেয়। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যদি ইরানের সরবরাহ বিঘ্নিত হয়, তবে সৌদি আরব উৎপাদন বাড়াবে কিনা।
এ বিষয়ে ওপেক প্লাসের একটি প্যানেল আজ বুধবার (২ অক্টোবর) বৈঠক করবে এবং তেল বাজারের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে। তবে এই বৈঠক থেকে কোনো নীতিগত পরিবর্তন আশা করা হচ্ছে না।
মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে কোনও সামরিক অস্থিরতা হরমুজ প্রণালি দিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।
বৈশ্বিক তেল বাণিজ্যের প্রায় ২০ শতাংশ কুয়েত ও ওমানের মাঝে অবস্থিত এই নৌপথটি দিয়ে পরিচালিত হয়ে থাকে। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত ও ইরাকসহ অন্যান্য ওপেক সদস্যরাও এই প্রণালি দিয়েই তাদের অধিকাংশ বাণিজ্য সম্পন্ন করে থাকে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসবিটি