স্মরণকালের বড় সামরিক মহড়ায় চীন-রাশিয়া
ঠাণ্ডা লড়াইয়ের পর সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে রাশিয়া। এবার তাদের সঙ্গী হয়েছে বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ চীন।
সাইবেরিয়ার পূর্ব প্রান্তে অনুষ্ঠিত এ মহড়ায় অংশ নিচ্ছে ৩ লাখ রুশ সেনা। আর বেইজিং-মস্কোর এই যৌথ মহড়ায় ৩২০০ সেনা পাঠিয়েছে চীন। এতে এশিয়ার অপেক্ষাকৃত ছোট দেশ মঙ্গোলিয়াও কিছু সেনা পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এর আগে ঠাণ্ডা লড়াইয়ের যুগে ১৯৮১ সালে শেষবারের মত এত বড় সামরিক মহড়া চালিয়েছিলো রাশিয়া। তখন অবশ্য দেশটির নাম ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। তবে এবারের ভস্তক-২০১৮ নামের মহড়ায় সেনা উপস্থিতির সংখ্যা সেবারের তুলনায় অনেক বেশি।
এই মহড়ার ওপর রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মহড়ার যে চিত্র প্রকাশ করেছে তাতে সারি সারি ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া যান ও যুদ্ধ সরঞ্জাম চলাচল করতে দেখা গেছে। রয়েছে হেলিকপ্টার ও জঙ্গিবিমানের উড়ার ছবিও। এক ভিডিওতে বেরিং প্রণালীর রুশ উপকূলে নোঙর করা বড় একটি যুদ্ধজাহাজ থেকে মটরাইজড আর্কটিক ব্রিগেড ও রুশ নর্দার্ন ফ্লিটের সৈন্যদের নামতে দেখা গেছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এগুলোকে মহড়ার প্রাথমিক পর্বের অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছে । আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে চীন-রাশিয়ার এই যৌথ মহড়া।
এর আগেও বেশ কয়েকবার একসঙ্গে এ জাতীয় মহড়ায় অংশ নিয়েছে মস্কো ও বেইজিং। তবে এটিই দু দেশের সবচেয়ে বড় মহড়া।
এই মহড়া শুরুর আগে ভ্লাদিভস্তক শহরে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেখানে পুতিন দু দেশের সম্পর্কের দৃঢ়তা বর্ণনা করে বলেন, ‘রাজনীতি, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষার বিষয়ে আমাদের রয়েছে গভীর আস্থা ও বিশ্বাসের সম্পর্ক।
এর আগে এ সম্পর্কে ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছিলেন, এই মহড়া রাশিয়ান প্রতি ‘আক্রমনাত্মক এবং অবন্ধুত্বপূর্ণ’ মনোভাবের ন্যায্য জবাব।
সূত্র: বিবিসি
এমএ/