ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

তাঞ্জানিয়ায় ফেরিডুবি: ২ শতাধিক নিহতের আশঙ্কা

তাঞ্জানিয়ায় ফেরিডুবি: নিহত ২ শতাধিক

তাঞ্জানিয়ায় ফেরি দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৬য়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে । তবে স্থানীয় কর্মকর্তাদের ধারণা এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২শ ছাড়িয়ে যাবে। কেননা এখনও নিখোঁজ রয়েছে ২ শতাধিক এবং তারা আর জীবিত নেই বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তাঞ্জানিয়ার ভিক্টোরিয়া হ্রদে বৃহস্পতিবার বিকেলে উকোরা ও বুগোলোরা দ্বীপ দুটির মধ্যবর্তী জলসীমায় ডুবে যায় এমভি নাইয়েরে নামের ফেরিটি। দুর্ঘটনার সময় ওই জলযানে চার শতাধিক যাত্রী ছিলো বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।

দুর্ঘটনার পরপরই শুরু হয় উদ্ধার কার্যক্রম। উদ্ধারকর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও এতে অংশ নেয়। তবে এ পর্যন্ত মাত্র ৩৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে উদ্ধার কার্যক্রম ফের শুরু হয়েছে। যদিও তাঞ্জানিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলেছে, ‘আর কাউকে জীবিত উদ্ধারের আশা নেই।’ তাই প্রত্যক্ষদর্শীরা মনে করছেন, মৃতের সংখ্যা আরো বাড়বে।

তাঞ্জানিয়ার রেড ক্রসের মুখপাত্র গডফ্রিদা জোলা মার্কিন সংবাদ মাধ্যম এপিকে বলেন, ‘আশঙ্কা করা হচ্ছে দুই শতাধিক লোক মারা গেছে।’

বৃহস্পতিবার ব্যস্ত দিনে বাজার সদাই শেষে আশপাশের জেলে এবং অন্যান্য পেশার লোকজন ফেরিতে করে বাড়ি ফেরার পথে এই দুর্ঘটনায় পড়েন। ‘তাদের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা কেউ জানেনা’ বলেও আক্ষেপ করেন গডফ্রিদা জোলা।

এদিকে এ দুর্ঘটনার পর শুক্রবার জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে চার দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন তাঞ্জানিয়ার প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলি। এছাড়া ফেরি ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তারেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

তাৎক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনার কারণ জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নেয়ার কারণেই এটি ডুবে যায়। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, ফেরিটির ধারণক্ষমতা ছিলো মাত্র একশ। কিন্তু দুর্ঘটনার সময় এতে ৪শ থেকে ৫শ যাত্রী ছিলো।

প্রসঙ্গত, আফ্রিকার এই দেশটিতে এ ধরনের দুর্ঘটনা কোনো নতুন বিষয় নয়। ২০১২ সালে ভারত মহাসাগরে একটি ফেরি ডুবে গেলে কমপক্ষে ১৪৫ জন প্রাণ হারিয়েছিলো। এর আগের বছর জাঞ্জিবার উপকূলে অন্য এক দুর্ঘটনায় প্রায় ২শ মানুষ মারা গিয়েছিলো।

তবে দেশটিতে সবচেয়ে বড় নৌ দুর্ঘটনা ঘটেছিলো ১৯৯৬ সালে। এই ভিক্টেরিয়া হ্রদেই এমভি বুকোবা নামের ফেরিটি ডুবে গেলে আট শতাধিক মানুষ প্রাণ হারায়। এ কারণে একে শতাব্দীর ভয়াবহতম ফেরি দুর্ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে।

সূত্র: আল জাজিরা

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত