ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

জনসন অ্যান্ড জনসন বেবি পাউডার ব্যবহারে ক্যান্সার হয়!

জনসন অ্যান্ড জনসন বেবি পাউডার ব্যবহারে ক্যান্সার হয়!

জনসন অ্যান্ড জনসন বেবি পাউডারে রয়েছে ক্যান্সারের জীবানু। ঠিক এমনই অভিযোগ করেছেন ৬২ বছর বয়সের এক মহিলা। ক্যালিফোর্নিয়ার এক আদালতে ওভারিতে ক্যান্সার আক্রান্ত এই মহিলা জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে।

ক্যালিফোর্নিয়ার আদালত মামলা রুজু করে জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানিকে ৪১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ৬২ বছরের ইভা ইচাভেরিয়া ১১ বছর বয়স (১৯৫০) থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জনসন বেবি পাউডার ব্যবহার করতেন। কিন্তু সম্প্রতি পরিচিত এক মহিলাকে ওভারিয়ান ক্যানসারে আক্রান্ত হতে দেখেন। তিনিও ওই একই পণ্য ব্যবহার করতেন। তখনই ইভার সন্দেহ হয়।

এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কিছু মহিলা এই একই কোম্পানির পাউডার ব্যবহার করে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। ২০০৭-এ ইভার দেহে ওভারি ক্যানসার ধরা পড়ে। ইভার অভিযোগ, জনসন তাদের বেবি পাউডারের গায়ে যদি একটি বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ লিখে রাখত, যে দীর্ঘদিন ওই পাউডার ব্যবহার করলে ক্যানসারের সম্ভাবনা তৈরি হয়, তাহলে তিনি ওই পাউডার এতোদিন ধরে ব্যবহার করতেন না।

তার আইনজীবীও আদালতকে জানান, ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ কোম্পানি জানত, তাদের ট্যালকম পাউডার ব্যবহারে ক্যানসার হতে পারে কিন্তু কোম্পানিটির বিজ্ঞাপনে কখনও এই বিষয়ে সতর্ক করেনি।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানি জানায়, ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, একাধিক সরকারি সংস্থার পরীক্ষাতে ওই অভিযোগের কোনও সত্যতা মেলেনি। অভিযোগকারীর বক্তব্যের কোনও বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই। যদিও আক্রান্ত মহিলা তার যে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট আদালতে জমা দেন, সেখানে লেখা, দীর্ঘদিন মারাত্মক ক্ষতিকারক ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করাতেই তার ওভারিতে ক্যানসার হতে পারে বলে উল্লেখ্য আছে।

দীর্ঘ প্রশ্ন উত্তরের পর আদালত ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ কোম্পানিকে নির্দেশ দেয়, ক্ষতিপূরণ হিসাবে ইভাকে ৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও শাস্তি হিসাবে ৩৪০ মিলিয়ন মার্কিন দিতে হবে অভিযুক্ত সংস্থাকে। এই প্রথম নয় অবশ্য, এর আগে ২০১২-তেও এক মহিলার ক্যানসার ধরা পড়ে জনসন বেবি পাউডার ব্যবহার করে। সেক্ষেত্রেও আদালত ভার্জিনিয়া নিবাসী ওই মহিলাকে ১১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। নিউ জার্সিতেও এরকম দু’টি অভিযোগ উঠেছে সম্প্রতি। সবমিলিয়ে এই মুহূর্তে ১০০০-এরও বেশি মামলা জনসন কোম্পানির বিরুদ্ধে ঝুলে রয়েছে।

/এসএআর/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত