ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩০ মিনিট আগে
শিরোনাম

ন্যাটোকে যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর অনুরোধ ইউক্রেনের

ন্যাটোকে যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর অনুরোধ ইউক্রেনের

যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর কাছে আজোভ সাগরে যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরেশেঙ্কো।

সম্প্রতি কের্চ প্রণালীতে রুশ সেনারা ইউক্রেনের তিনটি জাহাজ জব্দ ও ২৪ নাবিককে আটক করার প্রেক্ষিতে তিনি এ অনুরোধ জানালেন।

এ ঘটনার পরিণতি সম্পর্কে মস্কোকে সতর্ক করলেও পোরেশেঙ্কোর অনুরোধ নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি ন্যাটো।

বুধবার জার্মানির বিল্ড পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পোরেশেঙ্কো জানান, ন্যাটো আজোভ সাগরে যুদ্ধজাহাজ এনে ইউক্রেইনকে সহায়তা ও নিরাপত্তা দেবে বলে তিনি প্রত্যাশা করছেন।

পোরেশেঙ্কোর ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন চরম আকার ধারণ করে। ক্রিমিয়া অধিগ্রহণের পর আজোভ সাগর ঘিরে পশ্চিমাদের সঙ্গেও মস্কোর বিরোধ প্রকাশ্যে আসে।

পূর্বাঞ্চলীয় ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ক্রেমলিন সাহায্য করছে বলেও অভিযোগ আছে কিয়েভের। রুশপন্থি ওই বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ইউক্রেন ভূখণ্ডের একটি বড় অংশকে কিয়েভের শাসন থেকে মুক্ত করতে চায়।

কের্চ প্রণালীর ঘটনার পর ইউক্রেইন তাদের সীমান্ত এলাকাগুলোতে সামরিক আইন জারি করেছে। এর জবাবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ক্রিমিয়াতে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনা বসানোর কথা জানিয়েছে রাশিয়া।

এদিকে দু’দেশের এই সংঘাতে অন্য মাত্রা যোগ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী শুক্রবার বুয়েনস আইরেসে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে না-ও বসতে পারেন বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি। আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে থেকেই পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক নিয়ে নানা বিতর্ক ছড়িয়েছে। তবে ইউক্রেনের সঙ্গে গত কয়েক দিনে রাশিয়ার সমীকরণ যে জায়গায় দাঁড়িয়েছে তাতে পাশ্চিমের অন্য দেশগুলোও মস্কোর বিরোধিতায় নেমেছে।

প্রসঙ্গত, গত রোববার রুশ নিয়ন্ত্রণে থাকা ক্রিমিয়ার উপকূলে কিয়েভের তিনটি জাহাজ ও ২৪ জন ইউক্রেনীয় নৌসেনাকে আটক করার অভিযোগ ওঠে রুশ সীমান্তরক্ষীদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ইউক্রেন ও রাশিয়া পরস্পরবিরোধী মন্তব্য করে। পরস্পরের বিরুদ্ধে সমুদ্র সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘনের অভিযোগও তোলে। তারপর থেকেই উত্তেজনা বেড়েই চলেছে।

গত চার বছর আগে ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার প্রক্রিয়ার সময় থেকেই রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত জোরালো হয়েছে। ২০১৪ থেকে এই সংঘাতে নিহত হয়েছে অন্তত ১০ হাজার মানুষ।

সূত্র: বিবিসি

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত