ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪১ মিনিট আগে
শিরোনাম

লিও মেসির সঙ্গে সাক্ষাৎ, বিপাকে লিটল মেসি

বিপাকে লিটল মেসি

প্রাণ বাঁচাতে দ্বিতীয়বারের মতো আফগানিস্তান নিজের বাড়ি ছেড়ে পালাতে হয়েছে সাত বছর বয়সী লিটল মেসিকে।

ফুটবল তারকা লিওনেল মেসির ভক্ত হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোরগোল ফেলেছিলো ওই আফগান বালক। প্লাস্টিক ব্যাগ দিয়ে মেসির জার্সি বানিয়ে তা পরিধান করে মুরতাজা আহমাদীর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিলো ২০১৬ সালে।

পরে কাতারে তার স্বপ্নের নায়কের সাথে সাক্ষাতও হয়েছিলো, যে ঘটনায় রীতিমত তারকা বনে গিয়েছিলো ছোটো মুরতাজা নিজেও।

পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, তালেবানের ভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে হয়েছে তাদের।

আফগানিস্তানের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় গজনী প্রদেশে বসবাস করছিলো মুরতাজার পরিবার। কিন্তু পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে তারা এখন পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে কাবুলে।

এর আগে ২০১৬ সালেও তারা পাকিস্তানে স্বল্পমেয়াদে শরণার্থী সুবিধা পেতে আবেদন করেছিলো। কিন্তু পরে অর্থ শেষ হয়ে পড়ায় দেশে ফিরে আসে তার পরিবার। আর এবার পরিস্থিতি কেমন হয় সেটা এখনি কিছু বলা যাচ্ছেনা।

আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসির মহাভক্ত এই মুরতাজা। জার্সি কেনার সামর্থ্য নেই, তাই পলিথিন কেটে জার্সি বানিয়ে তার ওপর মেসির নাম ও জার্সি নাম্বার লিখে পরিধান করেছিলো মাত্র পাঁচ বছর বয়সে।

পরে সেই জার্সি পরা তার ছবি কেউ একজন পোস্ট করে সামাজিক মাধ্যমে। এরপর সেটি ভাইরাল হয়ে পড়ে আর লোকজনও তাকে ‘ছোটো মেসি’ ডাকতে শুরু করে।

আর এ খবর পৌঁছায় লিওনেল মেসি পর্যন্ত। ইউনিসেফের মাধ্যমে তিনি নিজের স্বাক্ষর করা জার্সি পাঠান তাকে।

পরে বার্সা তারকা যখন ২০১৬ সালে দোহাতে যান প্রীতি ম্যাচ খেলতে তখন মুরতাজাকে মেসির সাথে সাক্ষাতের জন্য আমন্ত্রণ করা হয়।

সেখানে প্রিয় তারকার সাথে কিছুটা হাটার সুযোগও পায় এই বালক। মুরতাজার পরিবার বলছে এই বিখ্যাত হওয়ার কারণেই তালেবানদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে মুরতাজা।

তার মা শাফিকা বলেছেন, ‘ওরা বলছে তোমরা ধনী হয়ে গেছো। মেসির কাছ থেকে যা টাকা পেয়েছো তা আমাদের দাও। নাইলে তোমার ছেলেকে নিয়ে যাবো।’

তিনি বলেছেন বাড়ি থেকে আসার সময় তারা কিছুই সাথে নিতে পারেননি, এমনকি মেসির কাছ থেকে পাওয়া জার্সিটাও।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত