শিক্ষার্থীর চুল কেটে কারাগারে শিক্ষিকা
যুক্তরাষ্ট্রের একজন শিক্ষিকা জোর করে তার ছাত্রের চুল কেটে দেয়ায় তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় ক্লাসে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময় ওই শিক্ষিকা জোর করে তার চুল কেটে দিচ্ছেন।
পঞ্চাশোর্ধ ওই শিক্ষিকার নাম মার্গারেট জিসযিঞ্জার ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই অভিযোগের কারণে তিনি এক্যালিফোর্নিয়ার ভিসালিয়ার ইউনিভার্সিটি প্রিপারেটরি হাইস্কুলের চাকরিটিও হারিয়েছেন।
কৌসুলিরা বলছেন, তার বিরুদ্ধে শিশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা, প্রহারসহ ছয়টি অভিযোগ আনা হয় । আর এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার সাড়ে তিন বছরের জেল হতে পারে।
তবে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন ওই শিক্ষিকা। এক লাখ ডলার মুচলেকা দিয়ে শুক্রবার জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি।
মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিও রেডিট-এ পোস্ট করা হলে তাতে দেখা যায়, স্কুলটির বিজ্ঞানের শিক্ষক এক ছাত্রকে শ্রেণিকক্ষের একেবারে সামনের দিকে এসে বসতে বলেন। তিনি তারপর তার কয়েক মুঠো চুল কেটে দেন। ওই সময় শিক্ষার্থীরা ভুল সুরে জাতীয় সঙ্গীত গাইছিল।
ছাত্রটির পক্ষের আইনজীবী সিএনএনকে বলেছেন, নিষ্কৃতি পাওয়ার আগ পর্যন্ত তার মক্কেল ‘সম্পূর্ণ আতঙ্কগ্রস্ত’হয়ে পড়েছিল।
এরপর জিসযিঞ্জার নিজের মাথার ওপরে কাঁচি উঁচু করে ধরে এবং বলতে থাকে ‘এরপর!’এরপর তিনি যে কোনও মেয়ে শিক্ষার্থীর চুল কাটার হুমকি দেয়।
এই ঘটনার পর টুলারে কাউন্টি অফিসের শিক্ষা বিষয়ক কর্মকর্তা তার বিবৃতিতে বলেন, ‘ক্লাসরুমে ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তাকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখি।’
তবে ওই মার্কিন শিক্ষিকা কী কারণে ক্লাস চলাকালে ছাত্রের চুল কাটার কাজটি করলেন তার কারণ জানা যায়নি।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
এমএ/