পাকিস্তানে গির্জা রক্ষণাবেক্ষণে মুসলিম পরিবার
পাকিস্তানের এক গ্রাম এলাকায় বহু পুরনো সেন্ট ম্যাথিউস গির্জা। গত ১০০ বছর ধরে ওই গির্জার দেখাশোনা করছেন স্থানীয় এক মুসলিম পরিবার।
বর্তমানে যিনি দেখাশোনার দায়িত্বে আছেন তার নাম ওয়াহিদ মুরাদ। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি জানেন কীভাবে ওই গির্জার ঘন্টা বাজাতে হয়। বিবিসিকে তিনি বলেছেন এই কাজ করতে কেন তিনি গর্ব বোধ করেন।
তার বক্তব্য গির্জা একটা ধর্মীয় উপাসনাস্থল এবং সব উপাসনাস্থলকে তিনি শ্রদ্ধা করেন।
‘যে কোন উপাসনাস্থল দেখাশোনা করা আমাদের কর্তব্য। গির্জা দেখাশোনার দায়িত্ব নিতে আমার কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নেই।’
নাথিয়া গালি নামে পাহাড়ি গ্রামে এই সেন্ট ম্যাথিউস গির্জাটি একশ বছর আগে বানিয়েছিল ব্রিটিশরা। ওই এলাকায় খ্রিস্টানরা এখন বাস করে না বললেই চলে।
‘আমার নানা এখানে কাজ করেছেন ৩৫ বছর , এরপর আমার আব্বা - ৪৫ বছর। আর আমিও গত ১৭ বছর ধরে এই গির্জার দেখভাল করছি।’
‘আমি লজ্জা পাই না, বরং গর্ব লাগে যে আমাদের পরিবার বংশানুক্রমে গত প্রায় একশ বছর ধরে এই গির্জার দেখাশোনা করছে।’
ওয়াহিদ মুরাদ বলেন, তিনি মুসলমান এবং তিনি তার নিজের ধর্ম পালন করেন। কিন্তু একই সঙ্গে এই গির্জার রক্ষণাবেক্ষণের কাজও তিনি করছেন এবং একাজ তিনি চালিয়ে যেতে চান বলেও জানান।
ওয়াহিদ মুরাদ
সূত্র: বিবিসি বাংলা
এমএ/