মহাভারতের যুগেও ছিল টেস্ট টিউব বেবি

মহাভারতের যুগে এক মায়ের গর্ভ থেকে ১০০টি সন্তানের জন্ম নিয়েছিলো স্টেম সেল গবেষণা এবং টেস্ট টিউব বেবি প্রযুক্তির মাধ্যমেই।

শুক্রবার ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জি নাগেশ্বর রাও এমন দাবি করলেন।

বাংলাদেশকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন ভিত্তিহীন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

এর আগে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব দাবি করেছিলেন, মহাভারতের যুগে ইন্টারনেট ছিলো। এবার বিপ্লব দেবের সেই মতবাদকে আরও এক ধাপ চড়িয়ে দিলেন ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জি নাগেশ্বর রাও।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি মহাভারতে ১০০ জন কৌরবের জন্ম হয়েছিল এক মায়ের গর্ভ থেকে। এটা সম্ভব হয়েছিল স্টেম সেল গবেষণা এবং টেস্ট টিউব প্রযুক্তির উন্নতির জন্য, যা হয়েছিল হাজার বছর আগে। এটাই ছিলো আমাদের বিজ্ঞান।

মহাভারতে বলা হয়েছে, ১০০টি ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করে সেগুলিকে ১০০টি আলাদা আলাদা মাটির পাত্রে রাখা হয়েছিল। তাহলে এগুলিকে তো টেস্ট টিউব বেবিই বলা উচিত। আমাদের দেশের স্টেম সেল গবেষণার ইতিহাস হাজার বছরের পুরনো। শুধু টেস্ট টিউব বেবি নয়, অস্ত্রশস্ত্র গবেষণার ক্ষেত্রেও ভারত অনেক এগিয়ে ছিল পৌরাণিক যুগে, এমনটাই দাবি নাগেশ্বর রাওয়ের।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি ভগবান রাম কীভাবে এমন অস্ত্র ব্যবহার করতেন যেগুলি লক্ষ্যবস্তুকে খুঁজে নিয়ে মারত, আবার ফিরেও আসত। এটাই প্রমাণ করে সে যুগেও গাইডেড মিসাইল প্রযুক্তি ছিল।

রাও আরও বলেন, রাবণের অন্তত ২৪ রকমের আলাদা আলাদা উড়োজাহাজ ছিল। যেগুলি আবার একেক রকমের আকারের এবং একেকটির কাজ একেক রকম। সেই সময় লঙ্কায় বেশ কিছু বিমানবন্দরও গড়েছিলন রাবণ।

স্বাভাবিকভাবেই উপাচার্য নাগেশ্বর রাওয়ের এই মন্তব্যের কারণে তাকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক ও টুইটারে হাসির রোল উঠেছে।

এমএ/