ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

বোটানিক্যাল গার্ডেনে রাক্ষুসে গাছ

  কলকাতা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:২৪  
আপডেট :
 ০৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:২৯

বোটানিক্যাল গার্ডেনে রাক্ষুসে গাছ
রাক্ষুসে গাছ

পশ্চিমবঙ্গের পর্যটকদের কাছে অন্যতম দর্শনীয় স্থান কলকাতা সংলগ্ন হাওড়ার শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন। এবারে সেই বোটানিক্যাল গার্ডেনে রাক্ষুসে গাছের খোঁজ মিললো।

এই রাক্ষুসে গাছগুলো ওই উদ্যানের অন্যান্য অনেক গাছকে শ্বাসরোধ করে গিলে খেয়ে নিচ্ছে। সম্প্রতি এক সমীক্ষা করতে গিয়ে এমন ঘটনা সামনে উঠে এসেছে কর্তৃপক্ষের কাছে।

বোটানিক্যাল গার্ডেন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত চার থেকে পাঁচ বছরে এই উদ্যনের প্রায় ১৬২টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছকে গিলে খেয়ে নিয়েছে এই রাক্ষুসে গাছ।

বোটানিক্যাল গার্ডেনের উদ্ভিদ বিজ্ঞানী ডঃ বসন্ত সিংহ বলেন, বোটানিক্যাল গার্ডেনে এক সমীক্ষা চালাতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, ২০১৪-১৫ সাল থেকে এই উদ্যানের প্রায় ১৬২ টি গাছের খোঁজ নেই। যার মধ্যে একটি প্রাচীন রুদ্রাক্ষের গাছও রয়েছে। অথচ ওই গাছগুলি মারা যাওয়ার কোনও রেকর্ড নেই। তখনই রাক্ষুসে গাছের বিষয়টি আমাদের মাথায় আসে।

তিনি জানান, এরপরেই আমরা উদ্যানের মধ্যে পরীক্ষা করে জানতে পারি বোটানিক্যাল গার্ডেনের মধ্যেই থাকা অন্তত সাতটি রাক্ষুসে গাছের শিকার হয়েছিলো ওই সমস্ত গাছগুলি।

বিজ্ঞানের ভাষায় ওই রাক্ষুসে গাছগুলোকে মোরাসি জাতীয় গাছ বলা হয়। বর্তমানে এই উদ্যানের অন্যান্য গাছগুলিকে কীভাবে ওই সমস্ত রাক্ষুসে গাছের হাত থেকে বাঁচানো যায় সেটাই চেষ্টা করছি আমরা।

এই ঘটনায় বোটানিক্যাল গার্ডেনের যুগ্ম অধিকর্তা ওমর শরিফ বলেন, মূলত মোরাসি জাতীয় এই সমস্ত রাক্ষুসে গাছ সাইলেন্ট কিলার হিসাবে কাজ করে। আমরা বিষয়টি জানার পরেই একটি বিশেষ নজরদারি দল তৈরি করেছি। উদ্যানের কোনও গাছকে মোরাস জাতীয় গাছের কবলে পড়তে দেখলেই দ্রুত ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বিভিন্ন উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সাধারণত মোরাস জাতীয় গাছের জন্ম হয় অন্য কোনও গাছের উপর। তারপর গাছটি একটু বড়ো হলেই নিজের ঝুরি দিয়ে ওই গাছটিকে জড়িয়ে মেরে ফেলে। তাই মোরাস জাতীয় গাছের ঝুড়ি বড়ো হওয়ার আগেই তাকে দ্রুত সরিয়ে ফেলা উচিত।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত