ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

বিজেপি সাংসদের স্বীকারোক্তি

‘বেতন কম তো, তাই চুরি করতে হয়’

‘বেতন কম তো, তাই চুরি করতে হয়’

বেতন। এমন একটা শব্দ যা মাসের শেষে পকেটে ঢোকে। যত বেতনই পান না কেন কখনই যেন যথেষ্ট হয় না সেটা। তাই বেতন বাড়ানোর দাবি ওঠে অহরহ। তা সে সরকারি হোক বা বেসরকারি কর্মীচারিরা। সকলেরই দাবি, বেতন বাড়ানো হোক। কিন্তু এই দাবি করতে গিয়ে যে চুরি করার কথাও স্বীকার করে বসবেন, তা সম্ভবত কল্পনাও করেন নি এক বিজেপি সাংসদ।

কথা হচ্ছে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তরপ্রদেশের বস্তি লোকসভার বিজেপি সাংসদ হরিশ দ্বিবেদীকে নিয়ে। বেতন বাড়ানোর আবেদন জানাতে গিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন তিনি। কোনও রাখঢাক না রেখেই প্রকাশ্যে তিনি বলেন, বেতনের টাকায় কোনও সাংসদ নির্বাচনী ক্ষেত্রে চলতে পারেন না তাই অন্য পথে হাঁটতে হয়। এখানেই থেমে না থেকে তার আরও চাঞ্চল্যকর বয়ান, একজন সাংসদের ১২ জন কর্মচারীর প্রয়োজন হয়। কিন্তু বেতন প্রাইমারি অধ্যাপকের থেকেও কম। তাই চুরি তো করতেই হবে। তার এ মন্তব্যের পরই শোরগোল পড়ে গিয়েছে ভারতের রাজনৈতিক মহলে।

শুধু তাই নয়। নিজের লোকসভা কেন্দ্রে যুবদের এক অনুষ্ঠানে শামিল হয়ে বেতন বৃদ্ধির দাবি তুলে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রশংসা করেন এই বিজেপি সাংসদ। হরিশ দ্বিবেদী বলেন, কেজরিওয়াল যেভাবে বিধায়কদের বেতন বাড়িয়েছেন তা প্রশংসার দাবি রাখে।

উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে প্রত্যেক মাসে ৫০ হাজার টাকা বেতন পান ভারতের প্রত্যেক সাংসদ। এছাড়াও নিত্যদিনের প্রয়োজন মেটানোর জন্য দৈনিক ২০০০ টাকা ভাতা দেওয়া হয় তাদের। এছাড়াও নিজের এলাকায় কাজ করার জন্য মাসিক ভিত্তিতে ৪৫ হাজারের ভাতা পান তারা। এছাড়াও একাধিক সুবিধা পাওয়ার তালিকা রয়েছে সাংসদদের। এত কিছু সত্ত্বেও বেতন কম পাচ্ছেন বলেই দাবি এই বিজেপি সাংসদের।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত