ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

সিএনএন জনমত জরিপ

শাট ডাউনের জন্য ট্রাম্পই দায়ী

শাট ডাউনের জন্য ট্রাম্পই দায়ী

মার্কিন ইতিহাসের দীর্ঘতম শাট ডাউন বা অচলবস্থার জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই দায়ী করছেন বেশিরভাগ আমেরিকানরা। একই সঙ্গে তারা মার্কিন প্রেসিডেন্টের মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের দাবিকেও অযৌক্তিক বলে মনে করছেন।

চলতি মাসে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন পরিচালিত এক জনমত জরিপে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।

মেক্সিকো সীমান্তে দেয়ালের নির্মাণের অর্থ বরাদ্দ নিয়ে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ডেমোক্র্যাট কংগ্রেস সদস্যদের মতবিরোধের কারণে গত ২২ ডিসেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গেছে।

কিন্তু জনমত জরিপে অংশগ্রহণকারীদের সিংহভাগই মনে করছেন, প্রেসিডেন্টের দেয়াল নির্মাণের এই দাবি কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। ফলে সিএনএনের জনমত জরিপে দেয়াল নির্মাণের বিপক্ষে মত প্রকাশ করেছেন শতকরা ৫৬ জন। অন্যদিকে এর পক্ষে মত দিয়েছেন ৩৯ শতাংশ। ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত সিএনএনর অন্য এক জনমত জরিপে একই ফলাফল এসেছিল।

একই সঙ্গে মেক্সিকো সীমান্তকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন না ৫২ ভাগ মার্কিন নাগরিক। অন্যদিকে একে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মত দিয়েছেন ৪৫ ভাগ মার্কিনী।

তবে এই দেয়াল নির্মাণ নিয়ে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দলের সমর্থকদের মধ্যে বিরাট মত পার্থক্য ধরা পড়েছে। প্রতি দশ জনের মধ্যে নয়জন ডেমোক্র্যাট সমর্থকই মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের বিপক্ষে। অন্যদিকে এর পক্ষে মত দিয়েছেন প্রতি দশজনের মধ্যে সাত রিপাবলিকান।

আর শাট ডাউনের জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে দায়ী করছেন সিংহভাগ আমেরিকান নাগরিক।

জনমত জরিপে অংশ নেয়াদের ৫৫ জনই মনে করেন, এই অচলাবস্থার জন্য ট্রাম্প দায়ী। অন্যদিকে এজন্য বিরোধী দল ডেপমোক্র্যাটদের দায়ী করেছেন মাত্র ৩২ শতাংশ মার্কিনী।

আর ১৪ শতাংশ মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রে ইতিহাসের দীর্ঘতম এই অচলাবস্থার জন্য ট্রাম্প আর ডেমোক্র্যাট এই উভয়পক্ষই সমানভাবে দায়ী। গত ২১ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া এই শাট ডাউন বা অচলাবস্থা অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একগুয়েমির কারণে এই সঙ্কট থেকে উত্তরণের কোনো সম্ভবনাই দেখা যাচ্ছে না। দেয়াল নির্মাণে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ না পেলে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন ট্রাম্প।

শাট ডাউনের কারণে গত ২৪ দিন ধরে বেতন পাচ্ছেন না যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের এক-চতুর্থাংশ বিভাগ ও সংস্থার আট লাখের বেশি কর্মী। কর্মী সঙ্কটের মুখে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে দেশের প্রায় অর্ধেক ন্যাশনাল পার্ক, স্মৃতিসৌধ ও ঐতিহাসিক স্থান।

গত শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ডেমোক্র্যাট সদস্যদের হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত কংগ্রেস মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের অর্থ না দিচ্ছে ততক্ষণ সরকারে অচলাবস্থা বিদ্যমান থাকবে। এই অচলাবস্থা মাসের পর মাস এমনকি প্রয়োজনে বছরের পর বছর ধরে চলবে।

গত ২১ ডিসেম্বর মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ আগামী বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকারের সব বিভাগের জন্য প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দের একটি বিল উত্থাপন করেছিল।

কিন্তু মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না থাকায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিলটিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি ওই বাজেট বিলে দেয়াল নির্মাণের জন্য অতিরিক্ত ৫৭০ কোটি ডলার অন্তর্ভূক্তির দাবি জানিয়েছিলেন।

কিন্তু প্রেসিডেন্টের দেয়াল নির্মাণ বাবদ ৫৭০ কোটি ডলার বরাদ্দকে অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং অকার্যকর বলে মনে করছেন ডেমোক্র্যাটরা।

সূত্র: সিএনএন

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত