পুরুষদের জড়িয়ে ধরেই লক্ষাধিক আয়
এমন একজন নারীর খোঁজ মিলেছে যিনি শুধু জড়িয়ে ধরেই লাখ লাখ টাকা ইনকাম করেন। ওই নারীর নাম রবিন মারিয়ে। তিনি থাকেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস শহরে।
রবিন একজন পেশাদার কাডলার। তার কাজই অনাত্মীয় লোকজনকে জড়িয়ে ধরা। তার একটি ওয়েবসাইট রয়েছে। ওই সাইটের মাধ্যমে তিনি গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
তারপর গ্রাহকদের সঙ্গে এক থেকে চার ঘণ্টা সময় কাটান। এই সময়ে তার কাজ হল শুধু গ্রাহকদের জড়িয়ে ধরা। কখনও সামনে থেকে জড়িয়ে ধরেন। কখনও বা পিছন থেকে জড়িয়ে ধরেন।
এর জন্য তিনি গ্রাহকদের কাছ থেকে ৮০ মার্কিন ডলার করে নেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় সাড়ে ৬ হাজার টাকা। এভাবে তিনি প্রতি সপ্তাহে ৪৫ ঘণ্টা গ্রাহকদের সঙ্গে সময় কাটান। আর তাতেই মাসে তার আয় হয় কয়েক লক্ষ টাকা।
কিন্তু তিনি কেন এমন কাজ করেন? এ সম্পর্কে রবিন মারিয়ে বলেন, এখন সবাই ব্যস্ত জীবন কাটান। ব্যস্ততার জন্য একটু একটু করে আত্মীয়-পরিজনদের থেকে সরে যাচ্ছেন অনেকেই। মনের মধ্যে ভিড় করছে একাকিত্ব, হতাশা। আর তা দূর করতেই এই পদ্ধতির সাহায্য নিতে চান অনেকে। তারাই আসেন রবিনের কাছে।
বিবাহিত, অবিবাহিত, সিঙ্গেল, ডিভোর্সি এবং পুরুষ থেকে নারী সবার জন্যই রবিনের দরজা খোলা। তবে তার গ্রাহকদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যাই বেশি।
আর এ পেশায় আসার আগে রীতিমত কোর্স করে এই কাডলিং শিখতে হয়েছে তাকে। তার কথায়, গোটা বিষয়টিই বৈজ্ঞানিক। যেমন সামনে থেকে জড়িয়ে ধরাকে বলে কাডলিং। পিছন থেকে জড়িয়ে ধরার নাম স্নুপিং। আর জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়াকে বলা স্নুগলিং।
এই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করেই মানুষের একাকিত্ব কাটাতে সাহায্য করছেন রবিন। তিনি কেবল জড়িয়ে ধরেন, কোনো সেক্স করেন না। তাই কেডলিংয়ে যাবার আগেই রবিন গ্রাহককে জানিয়ে দেন, সেশনের সময় তিনি পুরো পোশাকে থাকবেন এবং তার সঙ্গে কোনো রকম অশোভন আচরণ করা যাবে না।।
রবিনের প্রেমিকও বিষয়টি জানেন। আর এ নিয়ে তার কোনও আপত্তি নেই। প্রেমিককেও সপ্তাহের দশ ঘণ্টা এভাবে সময় দেন।
আর পোষ্য বিড়ালের সঙ্গে সময় কাটান সপ্তাহের সাত ঘণ্টা। তার মাঝেই অন্যদের একাকিত্ব কাটাতে ছুটে যান রবিন।
সূত্র: ইন্টারনেট
এমএ/
