ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

কিম-ট্রাম্পের দ্বিতীয় বৈঠক সফল হবে কি?

কিম-ট্রাম্পের দ্বিতীয় বৈঠক সফল হবে কি?

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বসছেন। হোয়াইট হাউজ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ওয়াশিংটন সফরকারী উত্তর কোরিয়ার একজন মধ্যস্থতাকারী কিম ইয়ং চোল শুক্রবার ট্রাম্পের সাথে দেখা করেন। এরপরই হোয়াইট হাউজ থেকে ট্রাম্প ও কিমের দ্বিতীয় দফা বৈঠকের সময় ঘোষণা করা হয়।

তবে বৈঠকের স্থান সম্পর্কে এখনও কিছু জানানো হয়নি। ভিয়েতনামে এই বৈঠক হতে পারে বলে আলোচনা রয়েছে।

গত বছরের জুন মাসে সিঙ্গাপুরে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কিমের মধ্যে প্রথমবারের মত ঐতিহাসিক বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকের পর থেকে এ পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র মুক্ত করার প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে সামান্যই অগ্রগতি হয়েছে।

এবারের বৈঠকে আগের চুক্তির অস্পষ্টতা দূর করা সম্ভব হবে কি না, বিশ্লেষকদের অনেকে সেই প্রশ্ন তুলেছেন।

তবে উত্তর কোরিয়ার দূত কিম ইয়ং চোলের ওয়াশিংটন সফরকে প্রথম পদক্ষেপ বা সামান্য অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে বিবিসির সংবাদদাতা জানিয়েছেন।

উত্তর কোরিয়ার দূত তাদের নেতা কিম জং উনের একটি চিঠি ট্রাম্পের কাছে হস্তান্তর করেছেন। চিঠিতে কি আছে, কিম জং উন তার পদক্ষেপের কিছু জানিয়েছেন কিনা, তা জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠকের করার ব্যাপারে কিছু বিষয় থাকতে পারে।

দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠকের কথা ঘোষণা করার পর সেই বৈঠকে আসলে কতটুকু কি হবে, তা নিয়ে নানা রকম আলোচনা শুরু হয়েছে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে দুই নেতার সিঙ্গাপুর বৈঠকের পর পরিস্থিতির কোনো অগ্রগতি হয়েছে কি?

সেই বৈঠকের পর প্রাপ্তি আসলে সেভাবে কিছু নেই। এখন পর্যন্ত তেমন কোন অগ্রগতি দৃশ্যমান হয়নি। ওয়াশিংটন এবং পিয়ংইয়ং এর মধ্যে আলোচনা বা মধ্যস্থতা থমকে রয়েছে।

উত্তর কোরিয়া তার পারমাণবিক অস্ত্রের তথ্য বা বিস্তারিত কিছু এখনও জানায়নি এবং অন্যদিকে দেশটির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবরোধ বহাল রয়েছে।

অন্যদিকে, কিম জং উন ব্যস্ত ছিলেন বিশ্বে তার ভাবমূর্তি তৈরির কাজে। তিনি প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে সম্পর্কের উন্নতি করেছেন।

দুই দেশ তাদের সীমান্তে সামরিক বাহিনীর তল্লাশি চৌকিগুলো ধ্বংস করেছে এবং দুই নেতা একে অপরের দেশে সফর করেছেন।

উত্তর কোরিয়া এবং চীনের মধ্যেও সম্পর্ক আরও উন্নত হয়েছে। কিম একাধিকবার চীন সফর করেছেন।

সিঙ্গাপুর বৈঠকে আসলে কি হয়েছিল?

সেখানে বৈঠকটি ছিল ঐতিহাসিক। চুক্তি স্বাক্ষরের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে রাজি হয়েছে।

কিন্তু অনেক বিশ্লেষক দেড় পৃষ্ঠার স্বাক্ষরিত চুক্তিটিকে অস্পষ্ট এবং সারবস্তুহীন বলে আখ্যায়িত করেছিলেন।

তাদের বক্তব্য ছিল, চুক্তিতে পারমাণবিক অস্ত্র মুক্ত করার উত্তর কোরিয়ার প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট করে কোন সময় দেয়া নাই।

উত্তর কোরিয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের কথা বললে, সেটা তথ্য প্রমাণ দিয়ে যাচাই করে নিশ্চিত হওয়ার বিষয় ঐ চুক্তিতে ছিল না। এখন দ্বিতীয় বৈঠক সামনে রেখে অনেকে আশা করছেন, এবার বিষয়গুলো সুনির্দিষ্টভাবে আসতে পারে। সেটা না হলে আবারও বিষয়গুলো অস্পষ্ট থেকে যাবে।

উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি এখন কি অবস্থায় আছে?

দেশটি গত জুনের বৈঠকের পর কোন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়নি। তারা একটি পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা কেন্দ্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র ইঞ্জিন সুবিধা ধ্বংস করেছে।

কিন্তু গত নভেম্বরে দেশটি নতুন একটি হাইটেক কৌশলগত অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র কতটা আছে তা এখনও পরিষ্কার নয়।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকের ব্যাপারে আলোচনা করতে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিমের দূত কিম ইয়ং চোল এখন ওয়াশিংটনে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত