‘কাশ্মীরি যুবকদের শেষ করে দেয়া হবে’
কাশ্মীরে বন্দুক হাতে নিলেই শেষ করে দেওয়া হবে বলে ফের উপত্যকার যুব সমাজকে বার্তা দিল ভারতীয় সেনা। তবে এমন দমননীতির বার্তা জঙ্গি সমস্যা কমাবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।
পুলওয়ামা কাণ্ডের পরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতীয় সেনার চিনার কোর-এর কম্যান্ডার কে জে এস ধিলোঁ স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, আগামী দিনে আরও শক্ত হাতে জঙ্গি দমন করা হবে। কোনো ধরনের বিরোধিতা হলে প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপ নিতেও দ্বিধা করবে না সেনা।
তিনি বলেন, ‘উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপ কোনো ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। কাশ্মীরি যুবকেরা হাতে বন্দুক নিলে তাদের শেষ করে দেয়া হবে।’ তবে আত্মসমর্পণ করলে সামাজিক সুরক্ষা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সেনার তরফে। কাশ্মীরি মায়েদের কাছে ধিলোঁর আর্জি, বিপথগামী সন্তানদের আত্মসমর্পণ করে সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে বলুন।
কিন্তু বিরোধীদের প্রশ্ন হল, ওই দমননীতিতে কি আদৌ কোনও লাভ হবে? কারণে মোদি সরকার ক্ষমতায় এসেই কাশ্মীরের শান্তি ফেরানোর দায়িত্ব কার্যত জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের হাতে তুলে দিয়েছিল। শুরু থেকেই কড়া দমননীতির রাস্তা বেছে নেওয়া হয়।
গত পাঁচ বছরে উপত্যকায় প্রায় সাড়ে আটশো জঙ্গি নিহত হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে নিহত জঙ্গিদের মধ্যে ক্রমশ বাড়ছে স্থানীয় যুবকদের সংখ্যা, কমছে বিদেশি জঙ্গি। ওই ঘটনা উদ্বিগ্ন করে তুলেছে ভারত সরকারকে।
সূত্র: আনন্দবাজার
এমএ/
