ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১১ মিনিট আগে
শিরোনাম

ধর্ষণ করার পর কিশোরীর মুণ্ডু কাটলো চাচা-ভাই

ধর্ষণ করার পর কিশোরীর মুণ্ডু কাটলো চাচা-ভাই

মানুষ কতটা নিষ্ঠুর আর হিংস্র হতে পারে তারই উদাহরণ যেন এ ঘটনা। নিজের চাচা ও ভাইদের হাতে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ১২ বছরের কিশোরী। ওই নরাধমরা মেয়েটিকে ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়নি। তার ধড় থেকে মুন্ডু বিচ্ছিন্ন করে মরদেহ মাঠে ফেলে রেখেছিলো।

এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের সাগর গ্রামে।

গত ১৪ মার্চ স্কুল থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হয় ওই কিশোরী। তাকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশকে ঘটনাটি জানায় তার বাবা। থানায় একটি ‘নিখোঁজ’রিপোর্ট লেখান তিনি। পরে ওইদিনই গ্রামের বাইরের দিকে একটি মাঠ থেকে কিশোরীর মুন্ডুহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

কিন্তু হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে মেয়েটির আপন কাকার ওপর পুলিশের সন্দেহ হয়। কেননা ওই ব্যক্তি বারবার ভুল তথ্য দিয়ে পুলিশকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছিলো। কিন্তু পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে আসার পর হত্যার আগে মেয়েটির ধর্ষণের বিষয়ে নিশ্চিত হয় পুলিশ।

এরপর কিশোরীর পরিবারের সদস্যদের রেকর্ডকৃত বিবৃতি এবং ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করা আলামতগুলো একসঙ্গে করে পুলিশ। এরপরই তারা মেয়েটিকে যে তার পরিবারের লোকেরাই ধর্ষণ ও হত্যা করেছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়। এই পর্যায়ে পুলিশ মেয়েটির ওই চাচা ও এক ভাইকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের দোষ স্বীকার করে।

ঘটনার ভয়াবহতার বর্ণনা করে ওই পুলিশ কর্মকর্তা অমিত সিংঘী জানান, ঘটনার দিন স্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরছিল মেয়েটি। তখন তার এক ভাই তাকে কাকার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে চাচা আর দুই ভাই মিলে মেয়েটিকে গণধর্ষণ করে। মেয়েটি তখন পুলিশের কাছে যাওয়ার হুমকি দিলে তার চাচী তাকে মারধোর করে। এরপরই ধর্ষকরা মাথা কেটে মেয়েটিকে হত্যা করে এবং মস্তকবিহীন লাশটি মাঠে ফেলে দেয়।

পুলিশ ঘাতকদের রক্ত মাখা কাপড় এবং হত্যায় ব্যবহৃত একটি কাস্তে উদ্ধার করেছে। এখন অভিযুক্ত অন্য ভাইকে ধরার চেষ্টা করছে পুলিশ।

সূত্র: এনডিটিভি

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত