ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২১ মিনিট আগে
শিরোনাম

রোহিঙ্গা গণহত্যা তদন্তে মিয়ানমারে সামরিক আদালত

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০১৯, ১০:৪০

রোহিঙ্গা গণহত্যা তদন্তে মিয়ানমারে সামরিক আদালত

অবশেষে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নতিস্বীকার করতে বাধ্য হলো মিয়ানমার। রোহিঙ্গা গণহত্যার তদন্ত করতে একটি সামরিক আদালত গঠন করার ঘোষণা দিয়েছে সে দেশের সেনাবাহিনী। যদিও এই আদালত নিয়ে ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।

সোমবার এক বিবৃতিতে ওই সামরিক আদালত গঠনের কথা জানিয়েছেন মায়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। একজন মেজর জেনারেল ও দু’জন কর্নেলকে নিয়ে গঠিত হয়েছে আদালতটি। করা হয়ে বলে ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।

তবে এই আদালতের নিরপেক্ষতা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেননা এর আগেও একবার রোহিঙ্গা গণহত্যার তদন্ত করেছে বার্মিজ সেনাবাহিনী। তখন তারা সকল অভিযুক্তকেই বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছিলো।

সামরিক আদালত গঠনকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি ছলনা বলে অভিযোগ করেছেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক নিকোলাস বেকুইলিন।

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক চাপ ঠেকাতে এটি মায়ানমার সেনাবাহিনীর একটি চাল। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করলেও এখনও পর্যন্ত ওই বাহিনীতে সংস্কারের কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি।’

২০১৭ সালে রাখাইন প্রদেশে পুলিশি চৌকিতে হামলার জের ধরে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক সামরিক অভিযানে চালায় সেনাবাহিনী৷ সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যা, ধর্ষণসহ নানা নির্যাতন চালায় সেনারা। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের অসংখ্য ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ৷ তখন প্রাণ বাঁচাতে প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা ৷

মিয়ানমার সেনাদের এই রোহিঙ্গা নিধনকে ‘গণহত্যা’হিসেবে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ। বার্মিজ সেনাপ্রধান ও পাঁচ জেনারেলকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন অনুসারে গুরুতর অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে বিচার করারও সুপারিশ করেছে জাতিসংঘের তদন্তকারী দল। এখন এসব অভিযোগের বিচার করতে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে এবার সামরিক আদালতে গঠন করলো মিয়ানমার।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত