ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

৫১ শিক্ষার্থীসহ স্কুলবাস ছিনতাই, অগ্নিসংযোগ

৫১ শিক্ষার্থীসহ স্কুলবাস ছিনতাই, অগ্নিসংযোগ

ইতালিতে ৫১ শিক্ষার্থীসহ একটি স্কুলবাস ছিনতাই করার পর এতে আগুন ধরিয়ে দেয়ো হয়েছিলো। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। যথাসময়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন শিশুদের উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

বুধবার ইতালির মিলানে শহরের সান ডোনাটো মিলানেসের মার্গারিটা হ্যাক স্কুলের বাসটি ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে। এ ঘটনায় ৪৭ বছর বয়সী এক বাসচালককে আটক করেছে পুলিশ।

ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য টেলিগ্রাফ বলছে, ইতালির কঠোর অভিবাসন নীতি নিয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে এই বাস ছিনতাই করেছিল ওই চালক। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লিবিয়া হয়ে ইউরোপ তথা ইতালি আসতে গিয়ে ভূমধ্যসাগরে ডুবে অসংখ্য অভিবাসীর মৃতের ঘটনায় হতাশ ছিলেন ওই চালক।

ওই ছিনতাইকারী আফ্রিকার দেশ সেনেগালের বংশোদ্ভূত ইতালীয় নাগরিক। তার নাম ওসেনু সাই।

বুধবার ওই চালক ক্রিমোনা এলাকার স্কুল থেকে ওই ৫১ স্কুল শিক্ষার্থীকে এক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু স্কুল শিশুদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়ার বদলে সে বাসটি ছিনতাই করে এবং মিলানের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। এসময় ছুরি হাতে নিয়ে শিশুদের ক্রমাগত হত্যারও হুমকি দিতে থাকেন।

দীর্ঘ ৪০ মিনিট ধরে চলে এই ছিনতাই নাটক। সড়কে বেপোরোয়া বাস চালানোর সময় বেশ কয়েকটি গাড়িকে ধাক্কা দেয় সে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ এবং বাসটি থামাতে সক্ষম হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাসে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় ওই চালক। শিশুদের পুরিয়ে মারারও হুমকি দেয় সে।

কিন্তু পুলিশ দ্রুততার সঙ্গে বাসের জানালা ভেঙে শিশুদের উদ্ধার করে। ফলে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

একই সঙ্গে ওই চালককেও আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। আটক হওয়ার পর সে বার বার পুলিশকে লক্ষ্য করে বলতে থাকেন, ‘তোমরা কেউ বাঁচবে না’। এ সময় সে‘ভূমধ্যসাগরীয় হত্যা’বন্ধ করারও দাবি জানায়।

এ ঘটনা সম্পর্কে মিলানের প্রধান কৌসুলি ফ্রান্সেসকো গ্রেকো জানান, এটা সত্যিই বিস্ময়কর ঘটনা এবং এতে মারাত্মক গণহত্যা ঘটতে পারতো।

উদ্ধার পাওয়ার পর এক শিশু জানায়, ওই লোক পেট্রোল ঢেলে তাদেরও আগুনে পুরিয়ে মারার হুমকি দিয়েছিলো।

সূত্র: টেলিগ্রাফ

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত